পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৪৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চালচুলা নাই-চেহারা লইয়া কি মানুষ। ধুইয়া খাইবো-কিন্তু এসব কথা প্রণব অপুকে কিছু বলিল না। একটা কথা শুনিয়া সে দুঃখিত হইল।-কেনারাম মুখুয্যের ছেলেটি নিজে দেখিযা মেযে পছন্দ করিয়াছিল। অপর্ণাকে বিবাহ করিবার অত্যন্ত আগ্রহ ছিল তাহার-কিন্তু হঠাৎ বিবাহ-সভায় আসিয়া কি যেন গোলমাল হইয়া গেল, সাবারাত্রি কোথা দিয়া কাটিল, সকালবেলা যখন হুশি হইল, তখন সে দাদাকে জিজ্ঞাসা করিয়াছিল--দাদা, আমার বিয়ে হ’ল না ? এখনও তাহাব অবশ্য ঘোর কাটে নাই-বাডি ফিরিবার পথেও তাহার মুখে ওই কথা-এখনও নাকি সে বদ্ধ উন্মাদ ! ঘরে তালা দিয়া রাখা হইয়াছে। অপু বলিল-হাসিস কেন, হাসবার কি আছে ? পাগল তো নিজের ঈচ্ছেদ্য হয় নি, সে বেচারিব। আর দোষ কি ? ও নিয়ে হাসি ভাল লাগে না । বাত্রে বিছানায় শুইয়া ঘুম হয় না।--কেবলই অপর্ণার কথা মনে আসে। প্রণব এ কি কবিয়া দিল তাহাকে ? সে যে বেশ ছিল, এ কোন সোনার শিকল তাহাব মুক্ত বন্ধনহীন হাতে-পায়ে অদৃশ্য নাগপাশের মত দিন দিন জডাইয়া পডিতেছে ? লাইব্রেরীতে বসিয়া কেবল আজকাল বাংলা উপন্যাস পডেদেখিল, তাহার মত বিবাহ নভেলে অনেক ঘটিয়াছে, অভাব নাই । পূজাব সময় শ্বশুরবাডি যাওয়া ঘটিল না। একে তো অর্থাভাবে সে নিজের ভাল জামা-কাপড় কিনিতে পারিল না, শ্বশুরবাডি হইতে পূজাব তত্ত্বে যাহা পাওয়া গেল, তাহা পবিয়া সেখানে যাইতে তাহার ভারী বাধিবাধ ঠেকিল। তাহা ছাড়া অপর্ণার মা চিঠির উপর চিঠি দিলে কি হইবে, তাহার বাবার দিক হইতে জামাইকে পূজার সময় লইয়া যাইবার বিশেষ কোন আগ্রহ দেখা গেল না ববং তঁহার নিকট হইতে উপদেশ পূর্ণ পত্র পাওয়া গেল যে, একটা ভাল চাকুবি-বাকুরি যেন সে শীঘ্র দেখিয়া লয়, এখন অল্প বয়স, এই তো অর্থ উপার্জনের সময়, এখন আলস্য ও ব্যসনে কাটাইলে--এমনি ধরণের নানা কথা। এখানে বলা আবশ্যক, এ বিবাহে তিনি অপুকে একেবারে ফঁাকি দিয়াছিলেন, কেনারাম মুখুয্যের ছেলেকে যাহা দিবার কথা ছিল তাহার সিকিও এ জামাইকে দেন নাই । ছুটি পাওয়া গেল পুনরায় বৈশাখ মাসে। পূর্বদিন রাত্রে তাহার কিছুতেই ঘুম আসে না, কি রকম চুল ছাটা হইয়াছে, আয়নায় দশবার দেখিল। ওই সাদা পাঞ্জাবীতে তাহাকে ভাল মানায়-না, এই তসরের কোটটাতে ? অপর্ণার মা তাহাকে পাইয়া হাতে যেন আকাশের চান্দ পাইলেন। সেদিমটা BB BSB BD DBB BDDDB DD DDBD DuDBD K DBS SBSS མཁས་ས་ཁ༠ Y*6t