পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৪৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঘরের মধ্যে চুকিয়া পুটলি নামাইয়া রাখিয়া সাবানখানা খুজিয়া বাহির করিয়া আগে হাত মুখ ও মাথা ধুইয়া ফেলিয়া তাকের আয়না ও চিরুনীর সাহায্যে টেরী কাটিল। পরে নিজের আগমনের সকল চিহ্ন বিলুপ্ত করিয়া বাডি হইতে বাহির হইয়া গেল । আধঘণ্টা পরেই সে ফিরিল। বধ ঘরের মধ্যে প্রদীপের সামনে মাদুর পাতিয়া বসিয়া কি বই পডিতেছে। অপু পা টিপিয়া টিপিয়া তাহার পিছনে আসিয়া দাডাইল। এটা অপুর পুরনো রোগ; মায়ের সঙ্গে কতবার এরকম করিয়াছে । হঠাৎ কি একটা শব্দে বধু পিছন ফিরিয়া চাহিয়া ভয়ে ধডমড় করিয়া উঠিবার চেষ্টা কবিতে অপু হো হো করিয়া হাসিয়া উঠিল। বধু অপ্রতিভেব সুরে বলিল-ওমা তুমি । কখন-কৈ-তোমার তোঅপু কাসিতে হাসিতে বলিল-কেমন জব্দ । আচ্ছা তো ভীতু৷ বধু ততক্ষণে সামলাইয়া হাসি সুখে বলিল-বা বে, ওই রকম ক’রে বুঝি আচমক; ভযা দেখাতে আছে ? ক’টার গাডিতে এলে এখন-তাই বুঝি আজ ছ-সাত দিন চিঠি দেওয়া হয় নি-আমি ভাবতি অপু বলিল-তারপর, তুমি কি রকম আছ, বল ? মায়ের চিঠিপত্র পেয়েছ ? —তুমি কিন্তু রোগ হয়ে গিয়েছ, অসুখ-বিসুখ হয়েছিল বুঝি ? —আমার এবারকার চিঠির কাগজটা কেমন ? ভালো না ? তোমার জন্যে এনেছি পচিশখানা। তারপর বাত্রে কি খাওয়াবে বল ? —কি খাবে বলে ? ঘি এনেছি, আলুপটলেব ডালনা করি।--আর দুধ আছেপরদিন সকালে উঠিয়া অপু দেখিয়া অবাক হইল, বাডির পিছনের উঠানে অৰ্পণা ছোট ছোট বেড়া দিয়া শাকের ক্ষেত, বেগুনের ক্ষেত করিয়াছে । দাওয়ার ধারে ধারে গাদার চারা বসাইয়াছে। রান্নাঘরের চালায় পুইলতা, লাউলত উঠাইয়া দিয়াছে। দেখাইয়া বলিল,-আজি পুই-শাক খাওয়াব আমার গাছের ! ওই দোপাটীগুলো দ্যাখো ? কত বড়, না ? নিরুপমা দিদি। বীজ দিয়েছেন। আর একটা জিনিস দ্যাখে নি ? এসে দেখাব অপুর সারা শরীরে একটা আনন্দের শিহরণ বহিল। অৰ্পণা যেন তাহার মনের গোপন কথাটি জানিয়া বুঝিয়াই কোথা হইতে একটা ছোট চাপা গাছের DD DDDD DDuB gBBBS BBDB DDYYYDL BBYiDB BD এখানে ? -হবে না। আর কেন ? আচ্ছা, এত ফুল থাকতে চাপা ফুলের ডাল যে পুতিতে গেলে ? অৰ্পণা সলজমুখে বলিল-জানি নৌ-যাও। A.