পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৫১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পিন্টর বাবা সারিয়া উঠিয়াছেন, তবে এখনও বড় দুর্বল, লাঠি ধরিয়া সকালে বিকালে একটু-আধটু গোলদীঘিতে বেড়াইতে যান, নিচের একঘর ভাডাটে উঠিয়া যাওয়াতে সেই ঘরেই আজকাল ইহারা থাকেন। ডাক্তার বলিয়াছে, আর মাসখানেকের মধ্যে দেশে ফেরা চলিবে। পরদিন সকালেও পিণ্টর মা ভাত দিয়া গেল। বৈকালে অফিস হইতে আসিয়া কাপড় জামা না ছাড়িয়াই বাহিরে বারান্দাতে বসিয়াছে। বউটি স্টোভ ধরাইতে আসিল । অপু উঠিয়া গিয়া বলিল-রোজ রোজ আপনাকে এ কষ্ট করতে হবে না, বৌদি। আমি এই গোলদীঘির ধারের দোকান থেকে খেয়ে আসব চা ৷ বউটি বলিল-আপনি অত কুষ্ঠিত হচ্ছেন কেন ঠাকুরপো, আমার আর কি কষ্ট? টুলটা নিয়ে এখানে বসুন, দেখুন চা তৈরী করি। এই প্রথম পিন্টর মা তাহার সহিত কথা কহিল। পিণ্ট, বলিল-কাকাবাবু, আমাকে গোলদীঘিতে বেড়াতে নিয়ে যাবে ? একটা ফুলের চারা তুলে আনিব, এনে পুতে দেব। বউটর বয়স ত্রিশের মধ্যে, পাতলা একহারা গড়াল, শ্যামবর্ণ, মাঝামাঝি দেখিতে। খুব ভালও নয়, মন্দও নয়। অপু টুলটা দুয়ারের কাছে টানিয়া বসিল। বউটি চায়ের জল নামাইয়া বলিল--এক কাজ করি ঠাকুরপো, একেবারে চাটি ময়দা মেখে আপনাকে খানকতক লুচি ভেজে দ্বি-ক’খানাই বা খান-একেবারে রাতের খাবারটা এই সঙ্গেই খাইয়ে দি-সারাদিন ক্ষিদেও CVs CoC3C3 মেয়েটি নিঃসঙ্কোচ ব্যবহারে তাহার নিজের সঙ্কোচ ক্রমে চলিয়া ৰাইতেছিল। সে বলিল-বেশ । করুন মন্দ কি। ওরে পিণ্ট, ওই পেয়ালাটা नेि स्त्री থােক, থাক ঠাকুরপো, আমি ওকে আলাদা দিচ্ছি। কোটুলিতে এখনও চা আছে-আপনি খান। আপনাদের বেলুনটা কোথায় ঠাকুরপো । --সত্যি আপনি বড় কষ্ট করছেন, বৌ-ঠাকরুণ-আপনাকে এত কষ্ট দেওয়াটা পিন্টর মা বলিল-আপনি বার বার ও-রকম বলছেন কেন ? আপনার আমার যা উপকার করেছেন, তা নিজের আত্মীয়ও করে না। আজকাল । কে পরকে থাকবার জন্যে ঘর ছেড়ে দেয় ?--কিন্তু আমার সে বলবার মুখ তো দিলেন না ভগবান, কি করি বলুন। আমি রুগী সামলে মেয়েকে যদি খাওয়াতে না পারি, তাই সে দুবেলা আপনি খেয়ে অফিসে গেলেই পিণ্টকে নিজে গিয়ে astry tatag atraig atas stews | are arofa Skå