পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৫৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

—না না তোমাকে পেয়ে সব বললুম, কারুর কাছে বলি নে, কে বুঝবে, তারা সবাই দেখছে দিব্যি চাকরি করছি, মাইনে বাড়ছে, তবে বেশই আছি । আমি যে মরে যাচ্ছি, তা কেউ বুঝবে না। রেস্তোর হইতে বাহির হইয়া পৰস্পব বিদায় লইল। অপু বলিলs firin (\5-in each of us a child has lived and a child has died-a child of promisa, who never grew up-f's far si অদ্ভুত জিনিস সুবেশ্বরদা-অত সহজে তাকে উডিয়ে দেওয়া চলে না। আচ্ছা! আসি, বড় আনন্দ পেলুম আজ । যখন প্রথম কলকাতায় পড়তে আসি, জায়গা ছিল না, তখন আপনারা জায়গা দিয়েছিলেন, সে কথা ভুলি নি এখনও । পরদিন দুপুর পর্যন্ত সে ঘুমাইয়া কাটাইল। বৈকালের দিকে ভবানীপুরের লীলাব মামার বাড়ি গেল। অনেক দিন সে লীলার কোন সংবাদ জানে না—দূর হইতে লাল ইটের বাড়িটা চোখে পড়িতেই একটা আশা ও উদ্বেগে বুক টিপ, টিপ করিয়া উঠিল, লীলা। এখানে আছে, না নাই—যদি গিয়া দেখে সে আছে! সেই একদিন দেখা হইয়াছিল। অপর্ণার মৃত্যুর পূর্বে। আজ আট বৎসর হইতে চলিল-এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে আর কোন দিন দেখা হয়। बांशे । প্রথমেই দেখা হইল। লীলার ভাই বিমলেন্দুর সঙ্গে। সে আর বালক নাই, খুব লম্বা হইয়া পডিয়াছে, মুখের চেহারা অন্য রকম দাড়াইয়াছে। বিমলেন্দু প্রথমটা যেন অপুকে চিনিতে পাবিল না, পরে চিনিয়া বৈঠকখানার পাশের ঘবে লইয়া বসাইল। দু-পাচ মিনিট এ-কথা ও-কথার পরে অপু যতদূর সম্ভব সহজ স্বরে বলিল-তারপর তোমার দিদির খবর কি-এখানে না। শ্বশুরবাড়ি ? বিমলেন্দু কেমন একটা আশ্চর্য সুরে বলিল-ও, ইয়ে আসুন আমার সঙ্গেচলুন । কেমন একটা অজানা আশঙ্কায় অপুর মন ভরিয়া উঠিল, ব্যাপার কি ? একটু পরে গিয়া বিমলেন্দু রাস্তার মোডে দাডাইয়া নীচু সুরে বলিল-দিদির কথা কিছু শোনেন নি। আপনি ? অপু উদ্বিগ্নমুখে বলিল-না-কি ? লীলা আছে তো ? -আছেও বটে, নেইও বটে। সে সব অনেক কথা, আপনি ফ্যামিলি ফ্রেণ্ড বলে বলছি। দিদি ঘর ছেড়েছে। স্বামী গোড়া থেকেই ঘোর মাতাল -অতি কু-চরিত্র। বেণ্টিক স্ত্রীটের এক ইহুদী মেয়েকে নিয়ে বাড়াবাড়ি আরম্ভ ক’রে দিলে-তাকে নিজের বাসাতে রাত্রে নিয়ে যেতে শুরু করলে । দিদিকে 设>剑