পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৬৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বটফলের গন্ধে কতকাল পরে তাহার সেই অত্যন্ত শৈশবের একটা সন্ধ্য আবার किब्रिग्रा अनिभ्रांछिठन 6ननि। পোড়োভিটার সীমানায় প্রকাণ্ড একটা খেজুর গাছে কঁাদি কঁাদি ভাসা, খেজুর ঝুলিতেছে- এটা সেই চারা খেজুর গাছটা, দিদি যার ডাল কাটারি দিয়া” কাটিয়া গোড়ার দিকে দড়ি বঁধিয়া খেলাঘরের গরু করিত-কত বড় ও উচু হইয়া গিয়াছে গাছটা ! sBgBB BBDBBDB SDDSTDD DDD BBDLtD S gBBD DDDD দিদির চুরি-করা সেই সোনার কৌটাটা ছাড়িয়া ফেলিয়া দিয়াছিল একদিন । কত সুপরিচিত জিনিস এই দীর্ঘ পঁচিশ বছর পর আজও আছে! রাঙী গাইয়ের বিচালি খাওয়ার মাটির নাদাটা কঁঠালতলায় বঁাশপাতা ও মাটি বোঝাই হইয়া এখনও পড়িয়া আছে। ছেলেবেলায় ঠেস দেওয়াল গাথার জন্য বাবা মজুর দিয়া এক জায়গায় ইট জড় করিয়া রাখিয়াছিলেন• • • অর্থাভাবে আর গাথা হয় নাই । ইটগুলা এখনও বঁাশবনের ছায়ায় তেমনি পড়িয়া আছে। কতকাল আগে মা তাকের উপর জলদানে পাওয়া মেটে কলসী তুলিয়া রাখিয়াছিল, সংসারের প্রয়োজনের জন্য-পড়িয়া মাটিতে অর্ধপ্রোথিত হইয়া আছে। সকলের অপেক্ষা সে যেন অবাক হইয়া গেলা-পাচিলের সেই ঘুলঘুলিটা আজও নতুন অবিকৃত অবস্থায় দেখিয়া-বালিচুণ একটুও খসে নাই যেন কালকের তৈরী-এই জঙ্গল ও ধ্বংসস্তুপের মধ্যে কি হইবে ও কুলুঙ্গিতে ? খিড়কীদোরের পাশে উচু জমিটাতে মায়ের হাতে পোতা সজনে গাছ এখনও আছে। যাইবার বছরখানেক আগে মাত্র মা ডালটা পুতিয়াছিলএই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে গাছটা বাড়িয়া বুড়া হইয়া গিয়াছে—ফল খাইতে আর কেহ আসে নাই-জঙ্গলে ঢাকিয়া পড়িয়া আছে। এতকাল-অপরাহ্রের রাঙা রোদ গাছটার গায়ে পড়িয়া কি উদাস, বিষাদমাখা দৃশ্যটা ফুটাইয়াছে যে !-ছায়া ঘন হইয়া আসে, কঁাচাকলায়ের ডালের মত সেই লতাটার গন্ধ আরও ঘন হয়অপুর শরীর যেন শিহরিয়া ওঠে-এ গন্ধ তো শুধু গন্ধ নয়-এই অপরাহু, এই গন্ধের সঙ্গে জড়ানো আছে মায়ের কত রাত্রের আদরের ডাক, দিদির কত কথা, প্রবার পদাবলী গানের সুর, বাল্যের ঘরকন্নার সুধাময় দারিদ্র্য-কত কি-কত ঘন বনে ঘুঘু ডাকে ; ঘুঘু-খু- সে অবাকু চোখে রাঙ্গারোদ-মাখানে সজনে গাছটার দিকে আবার চায়মনে হয় এ বন, এ স্তৃপাকার ইটের রাশি, এ সব স্বপ্ন-এখনি মা ঘাট হইতে সন্ধ্যায় গা ধুইয়া ফিরিয়া ফরসা কাপড় পরিয়া ভিজা কাপড়খানা উঠানের বঁাশের আনিলায় মেলিয়া দিবে, তারপরে প্রদীপ হাতে সন্ধ্যা দিতে দিতে তাহাকে ܪܗ9