পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৬৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তলায়, অবাস্তব হলুদ রঙের চাঁদের আলোয়, শুভ্রতুষারাবৃত পাইন ও সিলভার ফুসের অরণ্যে নেকড়ে বাঘের ডাক শুনে সে আনন্দ পান না। -আমি সেদিন খালি পায়ে বালুমাটির পথে শিমূল সোদালি বনের ছায়ায় ছায়ায় ভিন-গাঁয়ে যেতে যেতে যে আনন্দ পেয়েছিলুম। আমি তো বড় হয়ে জীবনে কত জায়গায় গেলুম, কিন্তু জীবনের উপায় মুক্তির প্রথম আস্বাদের সে পাগলকরা আনন্দের সাক্ষাৎ আর পাই নি।--তাই রেবাতািটর সেই বেতসতরুতলেই অবুঝ মন বার বার ছুটে ছুটে যায়। যদি, তাকে দোষ দিতে পারি। কৈ ?-- আজ একথা বুঝি ভাই যে, সুখ ও দুঃখ দুই-ই অপূর্ব। জীবন খুব বড় একটা রোমান্স-বেঁচে থেকে একে ভোগ করাই রোমান্স-অতি তুচ্ছতম হীনতম, একঘেয়ে জীবনও রোমান্স । এ বিশ্বাসটা এতদিন আমার ছিল নাভাবতুম লাফালাফি ক’রে বেডালেই বুঝি, জীবন সার্থক হয়ে গেল—তা নয়, দেখলুম ভাই। এর সুখ, দুঃখ, আশা, নিরাশা আত্মার যে কি বিচিত্র, অমূল্য য়্যাডভেঞ্চারতা বুঝে দেখতে ধ্যানদৃষ্টির প্রয়োজনীয়তা আছে, তা আসে এই রহস্যমাখা যাত্রাপথের অমানবীয় সৌন্দর্যের ধারণা থেকে। -- শৈশবের গ্রামখানাতে ফিরে এসে জীবনের এই সৌন্দর্যরূপটাই শুধু চোখে দেখছি। এতদিনের জীবনটা এক চমকে দেখবার এমন সুযোগ আর হয় নি। কখনও । এত বিচিত্র অনুভূতি, এত পরিবর্তন, এত রস • • • অনেকক্ষণ শুয়ে শুয়ে চারিধারের রৌদ্রদীপ্ত মধ্যাহ্নের অপূর্ব শাস্তির মধ্যে কত কথাই মনে আসে, কত বছর আগেকার সে শৈশব-ম্বরটা যেন কানে বাজে, এক পুরনো শান্ত দুপুরের রহস্যময় সুর-কত দিগন্তব্যাপী মাঠের মধ্যে এই শাস্ত দুপুরে কত বটের তলা, রাখালের বঁাশির সুরের ওপারের যে দশটি অনন্ত তার কথাই মনে ওঠে। কিছুতেই আমাদের দেশের লোকে বিস্মিত হয় না কেন বলতে পার, প্রণব ? বিস্মিত হবার ক্ষমতা একটা বড় ক্ষমতা। যে মানুষ কোনও কিছু দেখে বিস্মিত হয় না, মুগ্ধ হয় না, সে তো প্রাণহীণ। কলকাতায় দেখেছি কি তুচ্ছ জিনিস নিয়েই সেখানকার বড় বড় লোকে দিন কাটায়। জীবনকে যাপন করা একটা আর্ট-ত এরা জানে না বলেই অল্প বয়সে আমাদের দেশে জীবনের ব্যবসায়ে দেউলে হয়ে পড়ে । DDBB BDB DBBDS S DBYY D DBB MBDBD DDDDBLDL DYS S দেখেছিলুম নাগপুরে ভাই-যে কী অবর্ণনীয় আনন্দ পেতুম। বৈকালটিতে যখন কোনো শালবনের ছায়ায় পাথরের ওপর গিয়ে বসতুম-লোকাতীত যে বড় জীবন শত শত জন্মমৃত্যুর দূর পারে অক্ষুধ, তার অস্তিত্বকে মন যেন