পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৭১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইহারা জানিয়া গিয়াছেন, অপু লেখক। অপুর উপন্যাস এরা পড়েন নাই, কিন্তু লেখকের উপর এদের অবিচল ভক্তি। ফলে, শহরে সাহিত্যিকের আগমন সংবাদ রটিতে বিশেষ বিলম্ব হইল না। তাহার বাসায় কয়েকটি ছোকরা যাতায়াত শুরু করিল। ইহাদের রচনা অপুকে মনোযোগ দিয়া শুনিতে হইত-দরকার হইলে কলম চালাইয়া ঠিক করিয়া দিতে হইত। অপুর উপন্যাস ইহারা পড়িয়াছে। অপু অবাক হইয়া লক্ষ্য করিল, তাহার নাম বেশ ছড়াইয়াছে। এত দ্রুত খ্যাতি আসিবে, ইহা তাহার কল্পনার বাইরে ছিল। একদিক দিয়া ভালই হইয়াছে। একা থাকিতে হয়। এ ধরণের কিছু তরুণের সহিত আলাপ थांक अ व् । কাজলকে প্রতিবেশীর বাড়ীতে রাখিয়া মাঝে মাঝে সে একদিনের জন্য কলিকাতায় যায়। বই হইতে আয় হইতেছে মন্দ, নহে। পাবলিশারের কাছে গিয়া অপু টাকা লইয়া যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি মালতীনগরে ফেরে। কাজলকে ছাড়িয়া সে বেশীক্ষণ থাকিতে পারে না । আজকাল তাহার এই ভাবিয়া অবাক লাগে যে কাজলকে ফেলিয়া কি ভাবে এত দিন সে বাহিরে পড়িয়াছিল ? হোক ফিজি সুন্দর স্থান, কাজল সুন্দরতর। কলিকাতায় একদিন তাহাকে প্রকাশকের দ্বারে দ্বারে পাণ্ডুলিপি লইয়া ফিরিতে হইয়াছে। নূতন লেখকের উপন্যাস কেহ ছাপিতে রাজী হয় নাই। এখন পরিস্থিতি কিছুটা অন্যরকম। প্রকাশক খাতির করিতেছে, যত্ন করিতেছে। পূর্বের সে হেনস্থার দিন নাই। একদিন প্রকাশকের দোকানে ঢুকিতেই প্রকাশক হাসিয়া বলিলেন, আসুন অপূর্ববাবু, বহুদিন বঁাচবেন । এইমাত্র আপনার কথাই হচ্ছিল। ইনি হচ্ছেন ‘শবরী’ কাগজের সম্পাদক । আপনার একটা উপন্যাস চান, তাই ঠিকানা চাইছিলেন। তা আপনার নাম করতে করতে আপনি এসে হাজির । পরে পাশ্বস্থ স্থূলকায় ব্যক্তিটির দিকে ফিরিয়া বলিলেন-নিন, আর ঠিকানা দিতে হল না, একেবারে লেখক মশাইকে ধরে দিলাম। কথাবার্তা ঠিক হইয়া গেল। আগামী সংখ্যা হইতে অপু লিখিবো। একটা বিজ্ঞাপন দেওয়া হইতেছে। সম্পাদক ভদ্রলোক অপুর লেখার অত্যন্ত প্রশংসা করিলেন । অগ্রিম টাকা পকেটে লইয়া অপু পুরাতন দিনের মত খেয়ালে কিছুক্ষণ রাস্তায় রাস্তায় বেড়াইল। এখন সে হোটেলে ঢুকিয়া যাহা ইচ্ছা এবং যত ইচ্ছা! BuDuD uBB SS DDu BBDBB BD BBD gD DD BD D দিতে পারে। আজ হইতে অনেকদিন আগে, অবশ্য খুব বেশী দিন। আর কি, R