পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাবা-যে লোক ! দাতে বিষ আছে! কি করি ? কথাটা ভাবিতেই তাহার গা শিহরিয়া উঠিয়া সর্বশরীর যেন অবশ হইয়া গেল। সে আর মুখুয্যেবাড়ী ঢুকিল না-আশশেওড়া বনে, বঁাশঝাড়ের তলায় বর্ষণস্তব্ধ সন্ধ্যায় জোনাকী জলিতেছে, পা যেন আর উঠতে চাহে না-ভয়ে ভয়ে সে জল তুলিবার ছোট্ট DDDuSiD BDBDB DBB DDDB BD BB DDDDD পথে আসিতে আসিতে ভাবিল-যদি নারকেলটা ওদের ফেরত দিইতাহলেও কি গাল লাগবে ? তা কেন লাগবে—যার জিনিস তাকে তো ফেরত দেওয়া হ’ল, তা কখনো লাগে ? DBu K DDD BB DBBDSYiBS BS DBBDBDD BDB BDDD দিয়ে আয় গিয়ে । অপু ও দুর্গ অবাক হইয়া মায়ের মুখে দিকে চাহিয়া রহিলদুৰ্গা বলিল-এখ খনি? ফ্রা-এখখুনি দিয়ে আয়। ওদের খিড়কীর দোর খোলা আছে। চট ক’রে যা । ব’লে আয়, আমরা কুড়িয়ে পেইছিলাম, এই নাও দিয়ে গেলাম। --অপু আমাকে একটু দাডাবে না, মা ? বন্ড অন্ধকার হয়েচে, চল অপু আমাৰ সঙ্গে । ছেলেমেয়ে চলিয়া গেলে সর্বজয়া তুলসীতলায় প্রদীপ দিতে দিতে গলায় আঁচল দিযা প্রণাম করিয়া বলিল-ঠাকুর, নারকোল ওরা শত্তািরত ক’রে কুড়তে যায়নি সে তো তুমি জানো, এ গাল যেন ওদের না লাগে। দোহাই ঠাকুব, ওদের তুমি পঁচিয়ে বর্তে বেথে ঠাকুর। ওদের তুমি মঙ্গল কোরো। তুমি ওদেব মুখের দিকে চেও। দোহাই ঠাকুর। পথের পাঁচালী ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ গ্রামের প্রসন্ন গুরুমহাশয় বাড়ীতে একখানা মুদীর দোকান করিতেন। এবং দোকানেরই পাশে তাহার পাঠশালা ছিল। বেত ছাড়া পাঠশালায় শিক্ষাদানের বিশেষ উপকরণ-বাহুল্য ছিল না। তবে এই বেতের উপর অভিভাবকদের বিশ্বাস গুরুমহাশয় অপেক্ষা কিছু কম নয়। তাই তাহারা গুরুমহাশয়কে বলিয়া দিয়াছিলেন, ছেলেদের-শুধু পা খোড়া এবং চোখ কানা না হয়, এইটুকু মাত্র নজর রাখিয়া তিনি যত ইচ্ছা বেত চালাইতে পারেন। গুরুমহাশয়ও তাহার শিক্ষাদানের উপযুক্ত ক্ষমতা ও উপকরণের অভাব একমাত্র