পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৭৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সারাদিন ধরিয়া মৌপাহাড়ী ছাড়িয়া যাওয়ার তোড়জোড়-অথচ সবাই জানে তোড়জোড় করিবার কিছু নাই। সঙ্গে বেশী জিনিসপত্র যাইতেছে না । মৌপাহাড়ীর সহিত এতদিনে যে সম্পর্কটা বহু সুখস্থতির সঙ্গে জডিত হইয়া বাডিয়া উঠিয়াছে, আসল কষ্ট সেটাকে ছিন্ন করা । রাত্রি ঝিমঝিম করিতে থাকে। তখনও আলোকবিন্দুহীন অন্ধকারের ভিতর হৈমন্তী কাজলের পাশে শুইয়া চুপ করিয়া তাকাইয়া থাকে। দূরের থানায় ঘণ্টা বাজিয়া যায়। অনেকক্ষণ পরেও হৈমন্তী বুঝিতে পারে, কাজল জাগিয়া আছে। পর পর কয়েক রাত জাগিয়া চতুর্থ দিন শেষরাত্রে হৈমন্তী ঘুমাইয়া পডিয়াছিল। ঘুমাইয়া সে একটা অদ্ভুত স্বপ্ন দেখিল। দেখিল, সে বডি ষ্টিলের ট্রাঙ্কটা খুলিয়া তার সামনে দাডাইয়া। কোথাও বেড়াইতে যাওয়া হইতেছে। পাশেই বই-এর আলমারি। অপু হাসিয়া বলিতেছে —শুধু জামাকাপড় নিলেই কি চলবে ? আমি তো বই ছাড়া মোটে থাকতে পারি নে— অপু তাহাকে বই আগাইয়া দিতেছে, সে সাজাইয়া লইতেছে ট্রাঙ্কের ভিতর । মন-ভরা বেড়াইতে যাইবার আনন্দ । যেন সব ঠিক আছে। যেন क्रिकूरे शाळांश नांझे । পরের দিন ঘুম হইতে উঠিয়া হৈমন্তী সুরপতিবাবুর কাছে গিয়া দাডাইল । -বাবা ! -कि भी ? -এখান থেকে আর কিছু নয়—শুধু বইগুলো নিয়ে যাবো । সুরপতি হৈমন্তীর দিকে তাকাইলেন। কোনো প্রশ্ন করিলেন না। কিছুক্ষণ তাকাইয়া থাকিয়া মুখ নিচু করিয়া বলিলেন—তাই হবে মা। একটা বইও (यक पांच कीं । কয়েকটা প্যাকিংবাক্সে বইগুলি ভতি করিয়া সুরপতি মালতীনগরের ঠিকানায় রেলে বুক করিয়া দিলেন। যাইবার দিন সকালে কাজল একবার সুবর্ণরেখার ধারে গেল। বাবা যে পাথরটার উপর বসিয়া লিখিত, সেটা একইভাবে পডিয়া আছে। কাজলের অবাক লাগিল। যখন কাজলও পৃথিবীতে থাকিবে না, তখনও এটা এইভাবে এখানে পড়িয়া থাকিবে। এই নদী, এই চর, ঐ প্রান্তর-সবই একরকম থাকিবে । আকাশটা নীল থাকিবে । কেবল সে থাকিবে না । যেমন এখন বাবা নাই । কি-একটা পাখী মাথা সামনে-পেছনে নাডাইতে নাড়াইতে ক্রমশঃ চর BB DD BB DDBLYSS yLB DBDBD S DDB DD BrBSDuD আটকা পড়িয়াছে। বাবা এই সময়ে অনেকদিন এইখানে বসিয়া লিখিত । qve