পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৮১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হুইতেছিল, মা পিছন হাঁটতে সাবধান করিয়া দিতেছে-ওদিকে যাস নে, পড়ে शादि । সম্বলহীন আত্মীয়হীন বুদ্ধের গল্পটা কাজলের মনে দাগ কাটিয়াছিল। বলিতে বলিতে সে বিছানার উপর উঠিয়া বসিল । শেষ দিকটায় তাহার গলার কাছটায় একটা কান্না আটকাইয়া যাইতেছিল। অবাক হইয়া সে লক্ষ্য করিল, জীবনের অর্থহীনতা আবিষ্কারের পরেও সে জীবনকে কত ভালবাসে। অশ্রুরুদ্ধ কণ্ঠে বলিল-কত লোক জীবনে কিছু না পেয়েই মরে যায় মা। হৈমন্তী তাহাকে কাছে টানিয়া বলিল-ওমা, বুডো তুই কঁদেছিস ? তুই না বি এ. পন্ডিস ? বই পডে কান্না । , -আমি মানুষের দুঃখ দূর করার জন্য একটা কিছু করবো, দেখে নিও। সারাজীবন যারা কেবল কষ্ট পায়, চোখের জলে ডুবে থাকে, আমি তাদের নতুন-পৃথিবী তৈরী করে দেবো। -আমি জানি বাবা, তুই পারবি। --বি এটা দিয়ে আমি চাকরী নিয়ে চলে যাবো কোন নির্জন জায়গায় । মৌপাহাড়ী স্কুলে মাস্টারী করবো হয়তো। তুমি আমার সঙ্গে যাবে তো মা ? --তোকে ছেডে কোথায় থাকব বুড়ো ? তুই তো আমার সব। আমি বেশী টাকা পয়সা দিতে পারবো না মা, কিন্তু তোমাকে শান্তি দিতে পারবো। তাতে তুমি তৃপ্তি পাবে না ? -আমার কিছু চাই নে। কীতিমান স্বামী পেয়েছি, পুত্র যদি বিদ্বান হয় তবেই আমার সমস্ত পাওয়া হবে । কাজল আবার শুইল বটে, কিন্তু ঘুম আসিল না। বলিল-মা, আমার একদম ভাল লাগছে না। এই জীবন । পড়াশুনো হয়ে গেলেই বেরিয়ে পড়ব যেখানে হোক। এই তো আর ক'দিন পর থেকে মাঠে শিশির পড়তে শুরু করবে। রাত্তিরের পরিষ্কার আকাশে ঝকঝকি করবে নক্ষত্র। পৃথিবীটা আমাকে যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে-আমি বাইরে বেরুবামা, আমি কিছুতেই घटबद्ध cकांएवं गांझांकौयन कांbांद ना । --তোর বাবার রক্ত রয়েছে যে তোর শরীরে, কে তোকে আটকাবে ८थांकन? , -বঁাচতে গেলে ষে বিশ্বাস লাগে, তা কেন পাই না ? -ঈশ্বরে বিশ্বাস ? —শুধুই ঈশ্বরে নয়, জীবনে বিশ্বাস। -বিশ্বাস আসবে, দেখতে পাবি। মনটা খুব উদার খুব বড় করে রাখিস, RV