পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কেন ? কৈ তাহার মায়ের তৈরী মোহনভোগে তো কিসমিস থাকে না ? বাড়তে সে মা’র কাছে আবদার ধরে-মা, আজ আমাকে মোহনভোগ ক’রে দিতে হবে ? তাহার মা হাসিমুখে বলে-আচ্ছা ওবেলা তোকে ক’রে দেবো-পরে সে শুধু সুজি জলে সিদ্ধ করিয়া একটু গুড মিশাইয়া পুলটিসের মত একটা দ্রব্য তৈয়ারী করিয়া কঁাসার সরপুরিয়া থালাতে আদর করিয়া ছেলেকে খাইতে দেয়। অপুতাহাই খুশির সহিত এতদিন খাইয়া আসিয়াছে, মোহনভোগ যে এরূপ হয় তাহা সে জানিত না । আজ কিন্তু তাহার মনে হইল এ মোহনভোগে আর মায়ের তৈয়ারী মোহনভোগে আকাশ-পাতাল তফাৎ !• • • সঙ্গে সঙ্গে মায়ের উপর করুণায় ও সহানুভূতিতে তাহার মন ভরিয়া উঠিল। হয়তো তাহার মাও জানে না যে, এ রকমের মোহনভোগ হয়!—সে যেন আব্বছায়া। ভাবে বুঝিল, তাহার মা গরীব, তাহারা গরীব-তাই তাহাদের বাড়ী ভাল २i७श्i fi७झा ठूशू ब्ा ! একদিন পাডাব এক ব্রাহ্মণ প্রতিবেশীব বাড়ী আপুব নিমন্ত্রণ হইল। দুপুর বেলা, সে-বাড়ীব একটি মেয়ে আসিয়া অপুকে ডাকিয়া লইয়া গেল। ওদের রান্নাঘবেব দাওয়ায় যত্ন কবিয়া পিন্ডি পাতিযা জল ছিটাইয়া অপুকে খাবার জায়গা কবিয়া দিল। যে মেয়েটি অপুকে ডাকিতে আসিয়াছিল, নাম তার অমলা, বেশ টকৃটকে ফর্স বং, বড় বড় চোখ, বেশ মুখখানি, বয়স তার দিদির মতো ! আমলার মা কাছে বসিয়া তাহাকে-খাওয়াইলেন, নিজের হাতের তৈয়াবী চন্দ্রপুলি পাতে দিলেন। খাওয়ার পরে অমলা তাহাকে সঙ্গে করিয়া বাড়ী দিয়া গেল। সেদিন বৈকালে খেলিতে খেলিতে অপুর পায়ের আঙুল হঠাৎ বাগানের বেড়ার দুই বাঁশের ফঁাকে পিডিয়া আটকাইয়া গেল। টাটকাচেবা নতুন বঁাশের বেড়া, আঙুল কাটিয়া রক্তারক্তি হইল, অমলা চুটিয়া আসিয়া পা-খানা বঁাশেব ফাক হইতে বাহির না করিলে গোটা আঙুলটাই কাটা পডিত। সে চলিতে পারিতেছিল না, অমলা তাহাকে কোলে করিয়া গোলার পাশ হইতে পাথরকুচির পাতা তুলিয়া বাটিয়া আঙুলে বাধিয়া দিল । পাছে বাবার বকুনি খাইতে হয়, এই ভয়ে অপু একথা কাহারও কাছে প্রকাশ कव्नि भी । সে রাত্রে শুইয়া অপু শুধু অমলারই স্বপ্ন দেখিল। সে অমলার কোলে বেডাইতেছে, আমলার কাছে বসিয়া আছে, অমলার সঙ্গে খেলা করিতেছে, অমলা তাহারা পায়ের আঙলে পটি বাধিয়া দিতেছে, সে ও অমল রেলরাস্তায় ছুটাছুটি করিয়া বেড়াইতেছে-অমলার হাসিভার চোখমুখ ঘুমের ঘোরে সারারাত নিজের কাছে কাছে। ভোরে সে খুঁজিতে লাগিল অমলা কখন ན་- 葡气