సీధి অবতার বুক ধড়াস্ ধড়াস্ করিতে লাগিল, তাহার দেহের সমস্ত রক্ত যেন সৃৎপিণ্ডে আসিয়া জমা হইল। পরিচারিকা বলিল ঃ– "রাণীঠাকুরাণী আপনার অভ্যর্থনার জন্য প্রস্তুত আছেন।” কেণ্টি-দেহ অক্টেভ পরিচারিকার পিছনে পিছনে চলিল, কেননা সে এই প্রাসাদের অন্ধিসন্ধি কিছুই জানিত না । পদচালনায় ইতস্ততঃ-ভাব দেখিয়া পাছে তার অজ্ঞতা প্রকাশ হইয় পড়ে, এইজন্য সে পরিচারিকার অনুসরণ করাই শ্রেয়ঃ বিবেচনা করিল। পরিচারিক তাহাকে একটা সরে লইয়া গেল। ঘরটা বেশ একটু বড় রকমের। এটি রাণীর প্রসাধন-কক্ষ । প্রসাধন-টেবিল সমস্ত সুকুমার বিলাস-সামগ্রীতে বিভূষিত । উৎকৃষ্ট খোদাই কাজ-করা কতকগুল আলমারী ; আলমারীগুলা সার্টিন, মখমল, মলমল, জরি প্রভৃতি নন: প্রকার সৌধীন পরিচ্ছদে ঠাসা । ঘরের দেয়াল সবুজ সাটিন দিয়া মোড় । মেজের তক্ত বিচিত্র মেলায়েম রঙে রঞ্জিত এক পুব কোমল গালিচায় আচ্ছাদিত। প্রসাধন-টেবিলে সুগন্ধ-নির্য্যাসের স্ফটিক শিশিগুলা বাতির আলোয় ঝিকমিক্ করিতেছে। ঘরে মধ্যস্থলে একটা সবুজ মথমল-পা-দানের উপর অদ্ভুত গঠনের ইস্পাতের কাজ-করা একটা বৃহৎ ভূষণ পেটিকা—তাহাতে বিবিধ রত্নালঙ্কার সজ্জিত রহিয়াছে। কিন্তু এই সব অলঙ্কার পেটিকাতেই প্রায় বদ্ধ থাকিত ;–কোণ্টেস্ কচিৎ কখন তাহ ব্যবহার করিতেন। নারীসুলভ অশিক্ষিত স্বরূচি তাকে বলিয়া দিত—রত্ন-অলঙ্কারে রূপসীর প্রয়োজন হয় না। রূপের ছটার কাছে ঐশ্বর্য্যের ঘটা অতীব তুচ্ছ । জান্লা হইতে পর্দা ভাঁজে ভজে নীচে লুটাইয়া পড়িয়াছে—সেই জানলার কাছে, একটা বড় আয়না ও প্রসাধন-টেবিলের দুই-ডেলে বৈঠকী ঝাড়ের ছয় বাতির আলোয় উদ্ভাসিত। তাঁহারই সম্মুখে কেন্টেস
পাতা:অবতার.djvu/১০১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।