অবতার వ్స} প্রাস্কোভি লাবিন্স্কা রূপলাবণ্যের ছটা বিকীর্ণ করিয়া উপবিষ্ট । এক লঘু স্বচ্ছ বহিরাচ্ছাদনের নীচে কাপায়ের একটা শিথিল বন্ধনহীন নৈশ পরিচ্ছদ। তুষার-শুভ্র সুশোভন সুভঙ্গিম মরাল-কণ্ঠ বহিরাচ্ছাদনের ভিতর হইতে দেখা যাইতেছে। দুই দাসীতে মিলিয়া তাহার প্রচুর কেশগুচ্ছ ভাগ করিতেছিল, মন্থণ করিতেছিল, ফুঞ্চিত করিতেছিল, কণের ঘর্ষণ না লাগে,—এই ভাবে সাবধানে কেশরাশি কুঞ্চিত-আকারে গুছাইয়া রাখিতেছিল। মথন এই কেশ-বিদ্যাসের কাজ চলিতেছিল, রাণী জরির কাজ-কর সদা মথ মলের একটা ছোট চটিজুতার অগ্রভাগ মৃদু মৃদু নাচাইতে ছিলেন । কখন কখন বহিরাবরণ-বন্ধের ভাজ একটু সরিয়া গিয়া, তৃঘার-শুভ্র নিটােল বাহু বাহির হইতেছিল, এবং কোন কেশগুচ্ছ স্থানচ্যুত হইলে অতি শোভন ভঙ্গীতে হাত দিয়া তাহ! সরাইয়া দিতেছিলেন । উiহার সমস্ত শরীরে যেরূপ একটা শোভন এলানো ভাবভঙ্গী ছিল, তাঙ্গ কেবল প্রাচীন গ্রীকু পাষাণ-মূর্ত্তিতেই লক্ষিত হয়। এরূপ লস ধরণের তরুণ সৌন্দর্য, সুন্দর গঠন আর কুত্রাপি দেখা যায় না । ফু রেন্সের বাগান-বাড়ীতে অক্টেভ কৌন্টেসকে যখন দেখিয়াছিল, তাঙ্গ অপেক্ষ এখন কৌন্টেস আরও চিত্ত-মোহিনী হইয়াছেন । যদি অক্টেভ পূর্ব্বেই ইহার রূপে মুগ্ধ না হইতেন, তাহ হইলে তাহাকে এখন দেখিয় নিশ্চয়ই মুগ্ধ হইতেন। কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে আরও কিছু যোগ করিয়া অসীমের বৃদ্ধি করা যায় না । t কোন একটা ভীষণ দৃষ্ঠ দেখিলে, যেরূপ হয়, কোণ্টেসকে এইরূপ মৃত্তিতে দেখিয়া, কোন্ট-দেহধারী অক্টেভের হাটুতে হাটুতে ঠেকাঠেকি তইতে লাগিল—সে একেবারে যেন আত্মহারা হইয়া পড়িল ; মুখ শুকাইয়া গেল। মুনে হইতে লাগিল, কে যেন হাত দিয়া তার গল
পাতা:অবতার.djvu/১০২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।