অবতার మలి বলিলেন—“তুমি আমাকে এখন বড়ই অবহেলা কর, পূর্ব্বে ত তুমি অনেক রাত্রি পর্যন্ত আমাকে এই রকম করে একৃলা ফেলে থাকুতে পারতে না। তুমি কি আমাকেই শুধু ভাব ছিলে ?” কৌন্ট-দেহ অক্টেভ উত্তর করিল — —“তোমাকেই। তোমা ভিন্ন আর কাউকে না ।” —“না, না, সব সময় আমাকে ভাবনি ; যে সময়ে তুমি আমার কথা ভাব, আমি দূরে থাকূলেও তা জানতে পারি। এই মনে কর, আজ রাত্রে আমি একলা ছিলাম, সময় কাটাবার জন্য পিয়ানোয় বসে একটা সুর বাজাচ্ছিলাম। যখন মুরগুলো খুব জমে উঠেছিল, তোমার আত্মা কয়েক মিনিট ধরে আমার চারিদিকে একবার ঘুর-পাক দিয়েছিল ; তারপর কোথায় বে উড়ে গেল, কিছুই জানতে পারলাম না—তারপর সে আর ফিরে আসেনি। মিথ্যে কথা বোলো না । আমি যা তোমাকে বলচি—সে বিষয়ে আমি খুব নিশ্চিত।” বস্তুতঃ প্রাস্কোভির ভুল হয় নাই ; এই সেই মুহূর্ত্ত, যে মুহূৰ্বে ডাক্তার শেরবোনোর বাড়ীতে, কোন্টওলাফ মন্ত্রপূত জলপাত্রের উপর নত হয়ে একাগ্রচিত্তে র্তাহার আরাধ্য দেবীর মূর্ত্তিকে আহবান করেছিলেন—তার পরেই তিনি সন্মোহন-নিদ্রার অতল সমুদ্রের মধ্যে নিমজ্জিত হইয়া পড়েন । তখন তার জ্ঞান, তার ভাব, তার ইচ্ছা—সব বিলুপ্ত হইয়া মায় । দাসীরা কোণ্টেসের নৈশ প্রসাধন সমাপন করিয়া চলিয়। গিয়াছিল। কোন্ট-দেহ অক্টেভ সেইখানে বরাবর সমান দাড়াইয়া থাকিয়া কেন্টেস প্রাস্কোভির উপর জলন্ত দৃষ্টি নিক্ষেপ করিতেছিল। এই লালসা-দীপ্ত দৃষ্ট সহ করিতে না পারিয়া, কেন্টেস তার সর্বাঙ্গ আলখাল্লায় বেশ করিয়া আচ্ছাদন করিলেন, কেবল মাথাটা গোলা রহিল। ব্রহ্মলোগঞ্জ
পাতা:অবতার.djvu/১০৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।