এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।



অবতার

(Theophile Gautier-এর ফরাসী হইতে)

 অক্টেভের দেহ কোন রোগে ভিতরে ভিতরে ক্ষয় হইতেছে, তাহা কেহই বুঝিয়া উঠিতে পারিতেছিল না। অক্টেভ শয্যাশায়ী হয় নাই ; সে দৈনিক জীবনের কাজ সমান ভাবে করিয়া যাইতেছিল ; কখন একটি হা-হুতাশ তার মুখ দিয়া বাহির হয় নাই ; তথাপি চোখের সামনে স্পষ্ট দেখা যাইতেছিল, তার শরীর ক্রমশই ধ্বংসের দিকে যাইতেছে। তার আত্মীয়-স্বজন উৎকণ্ঠিত হইয়া ডাক্তার ডাকাইলেন ; ডাক্তার বলিলেন, বিশেষ কোন রোগ কিংবা ভয় পাইবার মত কোন রোগের লক্ষণ তাহার শরীরে কিছুই প্রকাশ পায় না ; বুক পরীক্ষা করিয়া দেখিলেন, ভাল আওয়াজই হইতেছে ; হৃৎপিণ্ডের উপর কাণ রাখিয়া শুনিলেন, হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন খুব দ্রুতও হইতেছে না, খুব আস্তেও হইতেছে না। কাসি নাই, জর নাই; কিন্তু তবু তার জীবনী-শক্তি যেন কোন অদৃষ্ঠ ছিদ্র দিয়া বাহির হইয়া যাইতেছে। ধন্বন্তরি বলেন, মানুষের জীবন এইরূপ গুপ্ত ছিদ্রে পূর্ণ। @ কখন কখন তার মুছা হইত ; তাহাতে মুখ পাণ্ডুবর্ণ ও সর্ব্বাঙ্গ পাথরের মত শক্ত হইয়া উঠিত। দুই এক মিনিটু কালু মনে হইতৃ যেন, প্রাণ বাহির হইয়া গিয়াছে ; কিন্তু একটু পরেই যে হৃৎ-স্পন্ন বন্ধ