এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবতার సి দুজনের পক্ষে এই বিশাল জগৎটা অতীব সংকীর্ণ :–তোমার প্রতারক আত্মা যে শরীরে বাস করিতেছে, আমার সেই শরীরকে আমি বধ করব, অথবা যে শরীরে আমার ক্রুদ্ধ আত্মা আবদ্ধ রয়েছে, তোমার সেই শরীরকে তুমি বধ করবে।—আমাকে পাগল বলিয়া দাড় করাইবার চেষ্টা করিও না—আমি ন্যায়সঙ্গত কাজ করিতে ভয় পাইব না ; ভদ্রজনেচিত শিষ্টতার সহিত, রাজদূত-সুলভ কৌশলের সহিত, তোমাকে আমি অপমান করিব। কৌন্ট ওলাফ-লাবিন্‌স্কি অক্টেভের চক্ষুশূল হইতে পারে, আর প্রতিদিনই ত অপেরা হইতে বাহির হইয়া পদব্রজে গমন করা হয় ; আশা করি, আমার এই কথাগুলা অস্পষ্ট হইলেও তোমার নিকট একটুও অস্পষ্ট বলিয়া প্রতীয়মান হইবে না। আর এক কথা,— তোমার সাক্ষিগণের সহিত আমার সাক্ষিগণ, দ্বন্দ্বযুদ্ধের কাল, স্থান ও নিয়ম সম্বন্ধে সম্পূর্ণরূপে বোঝাপড়া করিয়া লইবে।” এই চিঠিখানা অক্টেভকে বিষম মুস্কিলে ফেলিল। অক্টেভ কৌন্টের এই আহবান-পত্র প্রত্যাখ্যান করিতে পারিল না ; অথচ নিজের সহিত নিজে যুদ্ধ করিতে তাহার আদৌ প্রবৃত্তি হইল না,—কারণ, এখনো তাহার আত্মার পুরাতন আবরণটির প্রতি কতকটা মমতা ছিল । একটা ভয়ানক অপমান অত্যাচারের দরুণ বাধ্য হইয়া এই দ্বন্দ্বযুদ্ধে প্রবৃত্ত হইতে হইতেছে, মনে করিয়া অক্টেভ এই যুদ্ধের আহবান গ্রহণ করবে বলিয়া স্থির করিল। যদিও ইচ্ছা করিলে অক্টেভ তাহার প্রতিদ্বন্দ্বীকে পাগল সাব্যস্ত করিয়া, তাহার হাতে হাতকড়ি লাগাইয়। তাহাকে যুদ্ধে বিরত করিতে পারিক্ত, কিন্তু অক্টেভের কেমন একট সঙ্কোচ বোধ হইল। যদি মনের অদম্য আবেগ বশতঃ সে একটা নিন্দনীয় কাজও করিয়া থাকে—যে রমণী সর্ব্বপ্রকার গুলোভনের অতীত, সেই রমণীর সতীত্বের উপর জয়লাভ করিবার জন্ত যদি পতির মুখসে প্রণয়ীকে