.১১৪ অবতার এই প্রভাত কালে বোয়া-দে-বুলং ঠিক ছবির মত দেখিতে হইয়াছে। দিনের বেলা, যখন সৌখীন লোকের আমদানী হয় তখন এ শোভাটি থাকে না। এখন গ্রীষ্ম যতদূর অগ্রসর হইয়াছে, তাতে স্বর্য এখনো পত্রপুষ্পের হরিৎবর্ণকে স্নান করিয়া তুলিতে অবসর পায় নাই। নিশির শিশিরে ধৌত হইয়া নিরন্ধ, নিবিড় তরুপুঞ্জের পুষ্প সকল তাজা ও স্বচ্ছ আভা ধারণ করিয়াছে, এবং নবীন উদ্ভিদ রাশি হইতে একটা সুগন্ধ নিঃস্থত হইতেছে। এই স্থানের বৃক্ষগুলি বিশেষরূপে আরও সুন্দর। গাছের গুড়ি খুব জোরালো, শৈবালে মণ্ডিত সাটিনের মত মস্কণ একপ্রকার রূপালি ছালে বিভূষিত ; বৃক্ষকাণ্ড হইতে কিন্তুতকিমাকার শাখা-স্কন্ধ সকল বহির্গত হইয়াছে,-চিত্রকরের চিত্র করিবার সুন্দর মূল-আদর্শ। যে সকল পার্থী দিনের গোলমালে চুপ হইয়া যায়, তাহারা এই সময়ে তরুপল্লবের মধ্য হইতে আনন্দে শিশ, দিতেছে ; চাকার ঘর্ঘর শব্দে ভীত হইয়া একটা খরগোস তিন লাফে বালুকাময় পথের উপর দিয়া ছুটিয়া, ঘাসের মধ্যে লুকাইল । বেশ বুঝিতেই পারিতেছ, দ্বন্দ্বযুদ্ধের দ্বন্দ্বীদ্বয় ও তাহদের সাক্ষিগণ প্রকৃতির অনাবৃত সৌন্দর্য্যের এই সব কবিত্ব লইয়া বড় একটা ব্যাপৃত ছিলেন না । ডাক্তার শেরবোনোকে দেখিয়া কেন্ট ওলাফের খারাপ লাগিল । কিন্তু তিনি এই মনের ভাবটা শীঘ্রই সাম্লাইয়া লইলেন। অসি মাপা হইল, যুদ্ধের স্থান নির্দেশ হইল। যোদ্ধাদ্বয় কোর্তা খুলিয়া নীচে রাখিয়া আত্মরক্ষার ভঙ্গিতে মুখোমুখি হইয়া দাড়াইল । সাক্ষীরা বলিয়া উঠিল—“এইবার " দ্বন্দ্বযুদ্ধমাত্রেই, এক-একবার গম্ভীর নিশ্চলতার মুহূর্ত্ত আসে ; প্রত্যেক যোদ্ধা নিস্তব্ধভাবে তাহার প্রতিদ্বন্দ্বীর আপাদমস্তক নিরীক্ষণ করে,
পাতা:অবতার.djvu/১২৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।