অবতার :) NS মধ্যে তিনি প্রেমিকের আত্মাকে চিনতে পেরেছেন। সেই বাগানবাড়ীতে যে দৃষ্টিতে আমাকে দেখেছিলেন, সেই প্রেমশূন্য উদাসীন দৃষ্টি দম্পতীর শয়ন-কক্ষের দ্বারদেশেও দেপতে পেলাম।” অক্টেভের কণ্ঠস্বরে এমন একটা প্রকৃত দুঃখের ভাব ছিল যে, কেন্ট তার কথায় বিশ্বাস করিলেন । অক্টেভ একটু মৃদু হাসিয়া আরও বলিলেন—“আমি একজন প্রেমিক, আমি চোর নই। এই পৃথিবীতে যে একমাত্র ধন আমি চেয়েছিলাম, তাই যখন আমার হতে পারবে না, তখন তোমার পদবী, তোমার প্রাসাদ, তামীর ভূসম্পত্তি, তোমার ধন-ঐশ্বর্য্য, তোমার ঘোড়া-গাড়ী, তোমার কুলচিঙ্গ—এ সবে আমার কি প্রয়োজন ?—এসো, আমার হাতে তোমার হাত দাও—আমাদের বিবাদ সব মিটমাট হয়ে গেল – এখন সাক্ষীদের ধন্যবাদ দেওয়া যাক্ । আমাদের সঙ্গে শেরবোনোকে নেওয়া যাকৃ,—আর তাকে নিয়ে যেখান থেকে আমরা রূপান্তরিত হয়ে বেরিয়ে এসেছিলাম, সেই সন্মোহন প্রক্রিয়ার পরীক্ষাগারে আবার যাওয়া যাক্ । ঐ বুড়া ব্রাহ্মণের দ্বারা বা সঙ্ঘটিত হয়েছে, তা আবার তার দ্বারাই অঘটিত হতে পারবে ।” আরও কয়েক মিনিট কৌন্ট ওলাফের ভূমিকাই বজায় রাখিয়া অক্টেভ বলিল –“মহাশয়গণ, আমরা দুই প্রতিদ্বন্দ্বী আমাদের গোপনীয় কথা প্রকাশ করে পরস্পরের কাছে কৈফিয়ৎ দিয়েছি, এখন যুদ্ধ করা অনাবগুক। তবে কিনা শিষ্টসজ্জনের মধ্যে, একটু অসির ঘসাঘসি না হলেও মন সফাই হয় না !” জামোজকি ও সেপুলভেদ, এবং ফুলফ্রেড ও রাম্বে তাদের নিজের নিজের গাড়ীতে আবীর আরোহণ করিলেন । কোন্ট ওলাফ, অক্টেভ ও ডাক্তার বালথাজার শেরবোনো একটা বড় গাড়ীতে উঠিয়া ডাক্তারের বাড়ীর রাস্তার দিকে, যাত্রা করিলেন । • o
পাতা:অবতার.djvu/১৩০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।