এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবতার ১২৫ বদ্ধ হইতে চাহে না । এই আত্মা-পাখীটি ডানা নাড়িতেছে আর ভাবিতেছে—আবার তাহার পুরাতন দুঃখের আবাসে ফিরিয়া যাওয়া বাঞ্ছনীয় কি না—এইরূপ ইতস্ততঃ করিতে করিতে ক্রমাগত উদ্ধে উঠিতে লাগিল । শেরবোনো এই স্থলে কিংকর্ত্তব্য স্মরণ করিয়া, সেই সর্ব্ববিজয়ী দুনিবার মহামন্ত্র উচ্চারণ করিয়া, ইচ্ছাশক্তি প্রয়োগপূর্ব্বক একটা বৈদ্যুতিক ‘ঝড়া দিলেন ; আত্মারূপ সেই কম্পমান ক্ষুদ্র আলোকটি ইতিপূর্ব্বেই আকর্ষণ মণ্ডলের বাহিরে গিয়া, জানলা-শাশির স্বচ্ছ কাচের মধ্য দিয়া অস্তুস্থিত হইয়াছিল। ডাক্তার, বাহুল্য মনে করিয়া অন্ত চেষ্ট হইতে বিরত হইলেন এব: কেণ্টিকে নিদ্রা হইতে জাগাইয়া তুলিলেন। কেন্ট একটা আয়নায় নিজের পূর্ব্বমুখশ্রী দেখিতে পাইয়া একটা আনন্দধ্বনি করিয়া উঠিলেন। তাহার পর ডাক্তারের হস্তমদ্দন করিয়া, অক্টেভের দেহাবরণ হইতে বিমুক্ত হইয়াছেন কি না— এই বিষয়ে নিঃসংশয় হুইবার জন্য কৌন্ট অক্টেভের নিশ্চল দেহের উপর একটা কটাক্ষ নিক্ষেপ করিয়া চুটিয়া বাহির হইয়া পড়িলেন। কিয়ং মুহূর্ত্ত পরে, খিলান-মণ্ডলের নীচে গাড়ীর একটা চাপা ঘঘর শপ শুনা গেল ; এখন ডাক্তার শেরবোনো একাকী অক্টেভের মৃতদেহের সম্মুখে । কৌন্ট প্রস্থান করিলে, এলিফ্যাণ্টা-ব্রাহ্মণের শিষ্য শেরবোনে বলিয়া উঠিলেন, “রাম বল ! এ যে এক মুস্কিলের ব্যাপার ; আমি খাচার দরজা খুলে দিয়েছি, পাখী উড়ে গেছে ; এর মধ্যেই পৃথিবীর আকর্ষণ-মণ্ডলের বাহিরে এত দূরে 5 গেছে যে, এখন সন্ন্যাসী ব্রহ্মলাগমও তাকে ধরতে পারবে না। আমি একটা খুত শরীর কোলে নিয়ে বসে আছি। আমি খুব একটা কড়া দ্রাবক-রসে ডুবিয়ে শরীর টাকে গলিয়ে দিতে পারি কিংবা ঘণ্টা কয়েকের মধ্যে প্রাচীন মিসরের