অবতার }శిన উপলব্ধি করিয়াছিলেন- যদিও তাঁহার প্রকৃত কারণ বুঝিতে পারেন নাই। ওলাফ নীল মলাটের পুস্তকখানি শৈবাল-ভূমি হইতে কুড়াইয় লইয়া বলিলেন – “তুমি কি বই পড়ছিলে প্রাস্কোভি ?—আ! এ যে দেখছি হেনবি অফুর্টর ডিঞ্জেনের ইতিহাস–এ যে সেই বইখানা, যা তুমি একদিন দেখে কিনতে ইচ্ছা প্রকাশ করিয়াছিলে। সেই দিনই ঘোড়া ছুটিয়ে একজনের বাড়ীর টেবিলের উপর দুপুর রাত্রে ঐ বই তোমায় ল্যাম্পের পাশে এনে হাজির করে দিয়েছিলাম।—ঘোড়াটার দম বেরিয়ে যাবার ঘোত্র হয়েছিল।” “তাই ত তোমাকে বলেছিলাম, আর কখনও আমার মনের কোন সাধ বা খেয়াল তোমার কাছে প্রকাশ করব না । তোমার চরিত্রটা কিরকম জান ?—স্পেনদেশের সেই বড় লোকের মত, যে তার প্রোসীকে বলেছিল,—“আকাশের তারার দিকে তাকিও না—কেনন। তোমাকে তা’ এনে দিতে পারব না ।” কেন্ট উত্তর করিলেন – “তুমি যদি কোন তারার দিকে তাকাও, প্রাস্কোভি, তা হলে আমি আকাশে উঠ বার চেষ্টা করব, আর ঈশ্বরের কাছে গিয়ে তারাটা চেয়ে নেব।” যখন প্রাস্কোভি স্বামীর এই কথাগুলি শুনিতেছিলেন, সেই সময় তার কেশ-বন্ধনের একটা ফিতা বিদ্রোহী হওয়ায়, সেই ফিতাটি ঠিক করিবার জন্ত হাত উঠাইলেন,—র্তাহার জামার আস্তিনটা একটু সরিয়া গেল ; আর অমনি তার সুন্দর নগ্ন বাহু বাহির হইয়া পড়িল। তার হস্ত-প্রকোষ্ঠে নীলা পাথর-বসানো একটা গির্গিটি কুগুলী পাকাইয়া ছিল। “কেসিনে”তে তাহাকে দেখিয়া যেদিন অক্টেভের, মুণ্ড ঘুরিয়া গিয়াছিল,
পাতা:অবতার.djvu/১৪০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।