* • ১৮৪—সালে, গ্রীষ্মের শেষভাগে, ফুরেন্স-নগরে আসিয়া পড়িলাম । আমার হাতে কিছু সময় ছিল, কিছু অর্থ ছিল, আর কতকগুলি সুপারিসপত্র ছিল । আমি তখন থোয-নেজঞ্জী যুলাপুরুষ ; আমোদ ভিন্ন আর কিছুই চাইতাম না । আমি এক পান্থশালায় আড়ষ্টা করিলাম, একটা ফিটেন গাড়ী ভাড়া করিলাম। বিদেশীর কাছে যার একটা মোহ আছে, আকর্ষণ আছে—এথানকার সেই নাগরিক জীবন যাপন করিতে লাগিলাম। প্রাতঃকালে দেখিতে যাইতাম কোন এক গিজ্জা, কোন রাজপ্রাসাদ, কোন চিত্রশীল বেশ ধীরে-সুস্থে,~~কিছু মাত্র ত্বর না করিয়া । আর্টের অতিভোজনে, আমার ভিতরে আর্টের অগ্নিমান্য আনিতে দিই নাই । যে-সব ভ্রমণকারীরা ওসন্তাদের হাতের সমস্ত শ্রেষ্ঠ রচনা তাড়াতাড়ি দেখিতে চায়, তাদের প্রায়ই শেষে অর্টে অরুচি ও বিতৃষ্ণা জন্মে। আমি কখন এটা, কখন ওটা দেখিতে যাইতাম । কিন্তু একদিনে একটার বেশী দেখিতাম না । তারপর কোন হোটেলে আসিয়া, প্রাতভোজনস্বরূপ এক পেয়াল বরফে-জমানে কফি খাইতাম, চুরোটু ফুকিতাম, খবরের কাগজগুলায় চোখ বুলাইয়া যাইতাম, এবং পাশের দোকানে সুন্দরী ফুল-ওয়াণীর হাতের রচিত একটি ছোট পুষ্পগুচ্ছ ক্রয় করিয়া কোর্তার বোদামের ছিদ্রে তাহা গুজিয়া, দিবানিদ্রা সেনের জন্য বাড়ী ফিরিতাম। “ক্যাসিনে”তে আমাকে লইয়া যাইবার জন্ত বেলা ৩টার সময় আমার গাড়ী আসিয়া হাজির হইত। আমি “ক্যাসিনে”তে যাইতাম । পরিস্-নগরে ষেরূপ সৌধীন বেড়াইবার স্থান “বোয়া-দে
পাতা:অবতার.djvu/২৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।