এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

うや অবতার ছুটিতেছে। সকলেরই দৃষ্টি ঐ জীকালো গাড়ীটার উপর নিবদ্ধ। বালু-ভূমির উপর একটা সুবক্র রেখা কাটিয়া গাড়ীটা অন্ত গাড়ীর পাশে আসিয়া দাড়াইল। বুঝিতেই পারিতেছেন, গাড়ীটা খালি ছিল না ; কিন্তু গতির দ্রুততা বশতঃ আর কিছুই ঠিক লক্ষ্য হইতেছিল না—কেবল, সাম্নের গদির উপর একযোড়া ক্ষুদ্র বুট-জুতা প্রসারিত,-শালের একটা বৃহৎ ভাজ, এবং মাথার উপর সাদা রেশমের ঝালোর-ওয়ালা একটা ছাত—ইহাই কেবল দেখা যাইতেছিল । ছাতাটা এইবার বন্ধ হইল, আর অমনি, একটি অনুপমা রূপবতী নারী চারিদিকে সৌন্দর্য্যচ্ছটা বিকীর্ণ করিয়া লোকের নয়নপথে পতিত হইল। আমি অশ্বারূঢ় ছিলাম । তাই বিধাতার এই শ্রেষ্ঠ নারী-রচনার কোন খুঁটিনাটিই আমার চোখ এড়ায় নাই। রূপালি সবুজশাড়ী, সবুজ হইলেও ধবধবে মুখের রং এর পাশে কালে বলিয়া মনে হইতেছিল। জরির ফুল-কাটা সাদা রেশমের একটা বড় ওড়নার ছোট ছোট ভণজে ভিতরের পরিচ্ছদ আরও রহিয়াছে। অলঙ্কারের মধ্যে হাতে একটি সোনার বালা ; এবং সেই হাতে রমণী ছাতার হস্তিদন্তের হাতলটি ধরিয়া আছে । “কাপুড়ে-দোকানদারের মত আমি যে বেশভূষার খুটিনাটি বর্ণনা করিতেছি, ডাক্তার-মশায়, তজ্জন্ত আমাকে মার্জন করবেন ; কেননা প্রেমিকের চোখে এই সব ছোটখাটাে স্মৃতির গুরুত্ব খুবই বেশী। তার ললাটদেশ তুষার-শুভ্র ; তার নেত্রপল্লবের দীর্ঘ পহ্মরাজিতে তার নীলাভ চক্ষু অৰ্দ্ধ আচ্ছন্ন।--যে গোলাপ কোকিলের প্রেমালাপে বা প্রজাপতির চুম্বনে লজ্জায় রক্তিম হইয়া উঠে,"সেই সঙ্কোচ-নম্র সুকুমার সাদা গোলাপের ন্যায় তার পেলব গালদুটি। কোন মানব চিত্রকরের পক্ষে তার মুখবর্ণের নকল করা সম্ভব ; তার মাধুর্য, তার অপার্থিব স্বচ্ছতা— তার মুকোমল আভা আমাদের স্থল শরীরের রক্ত হইতে কখনই উৎপন্ন