এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবতার ›ፃ হইতে পারে না, এবং যা কিছু আভাস পাওয়া যায় সে কেবল তরুণ অরুণ-রাগের মধ্যে, কিংবা কোন স্বচ্ছ গোলাপী বস্ত্রাবৃত অমল-ধবল পাষাণ-প্রতিমা হইতে বিচ্ছুরিত রমণীয় বর্ণের আভায় । “রোমিও যেমন জুলিয়েটকে দেখিয়া রোজালিওকে ভুলিয়াছিল, সেইরূপ আমি, সৌন্দর্য্যের চরম-উৎকর্ষ এই নারীমূর্ত্তি দেখিয়া আমার ! পূর্ব্বকার সমস্ত প্রেম-ভালবালা বিস্তৃত হইলাম। আমার হৃদয় গ্রন্থের পৃষ্ঠাগুলিতে পূর্ব্বমুদ্রিত সমস্ত অক্ষর বিলুপ্ত হইয়া যেন একেবারে সাদ হইরা গেল। সচরাচর লঘুহৃদয় যুবাদিগের ন্তায় কেমন করিয়৷ আমি পূর্ব্বে ইতর নারীদিগের রূপে আকৃষ্ট হইয়াছিলাম, এখন তাহা বুঝিতেই পারিতেছি না । আমার মনে হইতে লাগিল, আমার অন্তদেবতার যেন আমি অবমাননা করিয়াছি। এই প্রাণঘাতী সাক্ষাৎকার হইতে আমার জীবনে নূতন দিনের আরম্ভ হইল। “দাপ্তিময়ী নারী-মূর্ত্তিকে লইয়া গাড়ীখান “ক্যাসিনে” ছাড়িয়া, আবার সহরের রাস্ত ধরিল । আমার ঘোড়া লইয়া আমি এক তরুণ বয়স্ক রুস্ ভদ্রলোকের পাশে আসিয়া দাড়াইলাম। ইনি একজন সৌধীন ভ্রমণকারী, যুরোপের সমস্ত নগরের সৌখীন মজলিসে ইহার খুব গতিবিধি আছে—বড় ঘরের লোকদের ইতিহাস ইনি সমস্তই অবগত আছেন। ইহার নিকটে আমি এই বিদেশিনীর কথা পাড়িলাম। কথায় কথায় জানিলাম ইনি কৌন্টেস্ প্রাস্কোভি লাবিন্‌স্কা ; ইনি লুথানিয়া-বাসিনী, মহদুবংশোদ্ভব ও অতুল ঐশ্বর্য্যশালিনী । ইহার স্বামী কাকেশিয়া প্রদেশে দুই বৎসর হইতে যুদ্ধকার্য্যে ব্যাপৃত রহিয়াছেন, আপনাকে বলা বাহুল্য, কোণ্টেসের দর্শন লাভের জন্ত আমার। অনেক কৌশল অবলম্বন করিতে হইয়াছিল ; কেননা স্বামী প্রবসে থাকায় তিনি কাহাবুও সহিত বড় একটা দেখা সাক্ষাৎ করিতেন না ।