এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবতার )ఫి নামিয়া আসিয়াছেন। আমার চোখ ঝলসাইয়া গেল ; আমি আত্মহারা ও হতবুদ্ধি হইয়া পড়িলাম। তাহার সৌন্দর্য্য-ধ্যানে নিমগ্ন হইয়া, তার মুখনিঃস্থত বাক্যের মধুর সঙ্গীতে বিমুগ্ধ হইয়া, উত্তর দেওয়া যখন নিতান্ত আবশ্বক হইত, তখন আমি থতমত খাইয়া আমৃতী-আমৃতা করিতে করিতে কতকগুলি অসংলগ্ন কথা বলিয়া ফেলিতাম, তাহাতে আমার বুদ্ধি-সম্বন্ধে তার খুব হীন ধারণাই হইত সন্দেহ নাই। কখন কথন আমার থতমত ভাব ও নির্ব্বদ্ধিতার কথা শুনিয়া একটি গোলাপ-রক্তিম আলোকরশ্মির ন্তায় তার সুন্দর ওষ্ঠাধরের উপর সুঙ্গৎ-সুলভ সদয় উপহাসরঞ্জিত মৃদুমধুর একটু হাসির রেখা অলক্ষিতে দেখা দিত। “আমার প্রেমের কথা এখনও পর্য্যন্ত আমি বলি নাই ; তাহার সম্মুখে আমি চিন্তাহীন, বলহীন, সাহসীন হইয়া পড়িতাম ; আমার বুক ধড়াস ধড়াস করিত, যেন হৃৎপিণ্ডটা আমার বক্ষ হইতে বাহির হইয়া আমার হৃদয়রাণীর পদতলে গিয়া লুটাইয় পড়িবে। কতবার উহার নিকট আমার মনোভাব প্রকাশ করিব বলিয়া সঙ্কল্প করিলাম, কিন্তু একটা অনিবার্য্য ভীরুতা আসিয়া আমাকে আটকাইয়া রাখিল। তাহার মুখে আমার প্রতি একটু ঔদাস্ত বা অপ্রসন্নভাব কিংবা একটু ঢাকাঢাকির ভাব লক্ষ্য করিলে আমার মুখ লজ্জায় লাল হইয়া যাইত, অথবা পাণ্ডুবর্ণ হইয়। যাইত। কিছুই না বলিয়া আমি বাহির হইয়া পড়িতাম ; বাহির হইবার সময় দরজা যেন হাতড়াইয়া পাইতাম না, মাতালের মত টলিতে টলিতে সিড়ি দিয়া নামিতাম । “বাহির হইয়া আসিবার পর আমার বুদ্ধি-বৃত্তি যেন আবার ফিরিয়৷ আসিত এবং তখন প্রজ্জলন্ত প্রেমের কবিতা আবৃত্তি করিয়া আকাশ ফাটাইয়া দিতাম, খুব আবেগের সহিত আমার অনুপস্থিত হৃদয়-পুস্তুলীর নিকট আমার শত শূত প্লেমের নিবেদন জানাইতাম। এই সব হৃদয়: