অবতার ২৩ বস্লাম । কয়েক মিনিট কাল ধরিয়া আমাদের মধ্যে একটা গভীর নিস্তব্ধতা ছিল। এই নিস্তব্ধতার দীর্ঘ মুহূর্ত্তগুলি বড়ই কষ্টকর। কথোপকথন-সুলভ সাদামাটা কথাও আমার মুখে যোগাইল না ; আমার মাথা যেন ঘুলিয়ে গেল ; আমার হৃৎপিণ্ড থেকে অগ্নিশিখা বেরিয়ে ঘেন আমার চোথে এসে দেখা দিল । তথন আমার প্রেমিক হৃদয় আমাকে বললে, ‘দেখে, এই পরম মুযোগ হারিয়ো ন৷ ” “কি করেছিলাম আমি জানি না – হঠাৎ দেখি রাণী আমার কষ্ট্রের কারণ বুঝতে পেরে কোঁচের উপর একটু উঠে বসে, তার সুন্দর হাতটি বাড়িয়ে ইঙ্গিতে যেন আমার মুখ বন্ধ করতে বলেন ।” “একটি কথাও বোলো না অক্টেভ ; তুমি আমাকে ভালবাস-আমি জানি, আমি বেশ অনুভব করি, আমি বিশ্বাস করি ; কিন্তু আমি তা চাই না, কারণ ভালবাসা ইচ্ছাধীন নয়। অন্য রমণী যারা আম অপেক্ষ কঠোর, তোমার উপর হয়ত রাগ করবে ; কিন্তু আমি তোমাকে ভালবাসতে পারিনে বলে, আমার কেবল দুঃখ হয়, এইমাত্র । আমি তোমার দুর্ভাগ্যের কারণ হয়েছি—এইটিই আমার দুঃখ । আমার সঙ্গে তোমার দেখা-সাক্ষাৎ হয়েছে বলে আমি দুঃখিত—না দেখা হলেই ভাল হত । কি কুক্ষণেই আমি ভেনিস ত্যাগ করে ফ্ররেনসে এসেছিলাম । প্রথমে আমি আlশ করেছিলাম, তোমাকে ক্রমাগত উপেক্ষার ভাব দেখালে, যদি তুমি দূরে চলে যাও। কিন্তু আমি জানি প্রকৃত ভালবাসা— যার সমস্ত চিহ্ন আমি তোমার চোখে দেখতে পাই—সেই প্রকৃত ভালবাসা কোন বাধাই মানে না, কিছুতেই দমে না। কিন্তু আমার অন্তঃকরণ এই কোমল ভাব, তোমার মনে যেন কোন বিভ্রম উৎপন্ন.না করে, কোনও স্বপ্ন জাগিয়ে না তোলে। তোমার প্রতি অনুকম্পা করচি বলে মনে কোরে না, তোমার ಡ আমি উৎসাহ দিচ্চি। এক জ্যোতির্ম্ম e
পাতা:অবতার.djvu/৩৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।