অবতার ૨? "তার পর দিনই আমি ফ্লরেন্ ছাড়লাম, কিন্তু কি জ্ঞান-চর্চা, কি দেশ-ভ্রমণ, কি কালের দীর্ঘতা কিছুতেই আমার কষ্টের লাঘব হল না। আমি বেশ অনুভব করচি, আমার মরণ নিকটে। না, ডাক্তার মশায়, আমার মৃত্যুতে আপনি বাধা দেবেন না।” ডাক্তার বলিলেন —“তারপর রাণীর সঙ্গে আর কি দেখা হয়েছে ?” এই কথা বলিবার সময় ডাক্তারের নীলচক্ষু হইতে অদ্ভুত রকমের ফুলিঙ্গ বাহির হইতেছিল। অক্টেভ উত্তর করিলেন—“না, তিনি এখন প্যারিসে আছেন।” এই কথা বলিয়া অক্টেভ ডাক্তারের দিকে হাত বাড়াইয়া একটা নিমন্ত্রণ-পত্র দিলেন । সেই পত্রের উপর লেখা ছিল — "আগামী বৃহস্পতিবার প্রাঙ্কোভি কৌন্টেস লাবিন্স্কা বন্ধুজনের অভ্যর্থনার্থ গৃহে থাকিবেন।” ‘S) রাস্তীর একধারে সারি-সারি বড় বড় গাছ—আর একধারে সুরম্য উস্তান। সোঁপীন লোকের ধূলিময় ও কোলাহলময় রাস্ত ছাড়িয়া, ७झे নিস্তব্ধ শান্ত সুন্দর রাস্তায় অতি অল্প লোকেই আসে ; কিন্তু যারা একবার আসে, তারা এথানকার একটি কবিত্বময় রহস্তময় আশ্রমের সম্মুখে না থামিয়া থাকিতে পারে না । ঈর্ষা-মিশ্র বিস্ময়ে তাহারা যেন অভিভূত হইয় পড়ে। মনে হয় বেন—ঘাঁহ অতুি বিরল—ঐশ্বর্য্যের ক্রোড়ে মুখশান্তি বিরাজ করিতেছে । এই উদ্যানের গরাদের নিকট আসিয়া কে না একবার থমকিয়া দাড়াইবে, কে না উদ্যানের হরিৎ তরুপল্লব-রাশির মধ্য দিয়া একটি সাদা ব্ল্যান-বাড়ী নির্নিমুেম্ব-লোচনে নিরীক্ষণ করিবে:
পাতা:অবতার.djvu/৩৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।