এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবতার २4 দিয়া দুই পক্ষের মত দুইটি উদ্ভিদগৃহ প্রসারিত ; কাচের দেয়াল সূর্যের কিরণে ঝিকৃমিক্‌ করিতেছে—এবং দেশবিদেশের হুলভ বৃক্ষের চারা উহার মধ্যে রক্ষিত হইয়াছে ৷ উষার প্রথম রশ্মিপাতে যদি কোন কবি প্রাতে ঐ রাস্ত দিয়া গমন করেন তাহা হইলে দেখিতে পাইবেন, কোকিলের নৈশ-কুহুধবনির শেষ তানটুকু তখনও মিলায় নাই। কিন্তু রাত্রিকালে যখন অপেরা হইতে প্রত্যাগত গাড়ীর ঘর্ঘর শব্দ, নিদ্রিত ' জগতের নিস্তব্ধতার মধ্যে বিলীন হইয়া যায়, তখন সেই একই কবি অস্পষ্টভাবে দেখিতে পাইবেন, একটি মুন্দর যুব-পুরুষের হাত ধরিয়া শুভ্র ছায়ার মত কোন বিষাদ-মুক্তি ললনা নিজ প্রাসাদ-ভবনে আরোহণ করিতেছেন । এই বাড়ীতেই—পাঠক বোধ হয় অনুমান করিতে পারিয়াছেন— কৌন্টেস প্রাস্কোভি লাবিন্‌স্কা ও তার স্বামী কোন্টওলাফ-লাভিন্ধ কিছুকাল হইতে বাস করিতেছেন । এই সাহসী বীর সম্প্রতি কাকেশশের যুদ্ধে জয়ী হইয়া স্বদেশে ফিরিয়া আসিয়াছেন । এই পুনমিলনে প্রেমিক-দম্পতি আনন্দে উন্মত্ত। যে প্রেম পরিশেষে বিবাহে পরিণত হয়, ইহাদের সেই বিশুদ্ধ প্রেমে দেব-মানব উভয়েরই অনুমোদন ছিল । কবি টমাসমুর “দেবতার প্রেম” যে ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন, ইহা সেই ধরণের প্রেম । ইহার বর্ণনা করিতে গেলে, আমাদের কলমের মুখে, প্রত্যেক কালির মসি আলোকবিন্দুতে পরিণত হইবে ; কাগজের উপর একটা শিখা ফেলিয়া, স্বরভি ধূপের একটা সুবাস রাখিয়া, প্রত্যেক শব্দ বাষ্পাকারে, উড়িয়া যাইবে । যে ই আত্মা পরম্পরের মধ্যে বিলীন হইয়া এক হইয়া গিয়াছে, কেমন করিয়া আমরা তাহার বর্ণনা করিব ? যেন দুই শিশিরাশ্রবিন্দু পদ্ম-পত্রের উপর গড়াইয়া একত্র মিলিত হইয়া, মিশ্রিত হইয়া, পরস্পরের মধ্যে বিলীনু