এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবতার موډ হুইয়া,—শেষে একটি মুক্তাবিন্দুতে পরিণত হইয়াছে। এই সংসারে মুখ জিনিসটা এতই বিরল যে, মানুষ তাহ প্রকাশ করিবার জন্ত শব্দ উদ্ভাবন করিতে চেষ্টা করে নাই, কিন্তু পক্ষান্তরে নৈতিক ও ভৌতিক কষ্ট-যন্ত্রণার অনুরূপ শব্দে, প্রত্যেক ভাষার শব্দকোষ পরিপূর্ণ। ওলাফ ও প্রস্কোভি শৈশব হইতেই পরস্পরকে ভালবাসিত । একটি নামেই উহাদের উভয়ের হৃদয় স্পদিত হইত ; শৈশব হইতে ঐ নামই উহাদের পরিচিত ছিল, উহাদের নিকট আর কোন লোকের যেন অস্তিত্বই ছিল না ; প্লেটোর বর্ণিত একাধারে স্ত্রী-পুং দেহের দুই টুকরা সেই আদিমকালের বিচ্ছেদের পর যেন আবার উহুদের মধো আসিয়া পুনর্মিলিত হইয়াছিল । যেন উহার একত্বের মধ্যে দ্বিত্বরূপে গঠিত তষ্টয়াছিল। উহাদের মধ্যে একটি পরিপূর্ণ সামঞ্জস্ত ফুটিয়া উঠিয়ছিল। একই বাসনার আহবানে উহার পাশাপাশি চলিত, অথবা একটি কপোতযুগল একই চেষ্টায় জীবন-পথে বিচরণ করিত, উড়িয়া বেড়াইত । এই সুখের অবস্থা যাঠাতে অক্ষুণ্ণ থাকে এইজন্য স্বর্ণ-বF:ম গুলের মত অসীম ঐশ্বর্য উহাদিগকে ঘিরিয়া ছিল। এই সুখী-যুগল কোথাও আবিভূত হইবামাত্র তত্রত দীনদুঃখীদের দুঃখের লাঘব হইত—চার-বস্ত্র তখনই ঘুচিয়া বাই , নয়নাশ্র শুকাইয়া যাইত ; কারণ, ওলাফ ও গ্রাস্কোভির একটা উচ্চতর মুখের স্বার্থপরতা ছিল, উহারা আপন সান্নিধ্যে কোন দুঃখ-কষ্ট সহিতে পারিত না । কোণ্টের মুখমণ্ডল ডিম্বাকৃতি, ঈষৎ দীর্ঘ, সুগঠিত পাতলা নাক, ওষ্ঠ যুগল দৃঢ়ৰূপে অঙ্কিত, মুস্পষ্ট গোফের রেখা, গোফের দুই প্রান্ত ছু চাল, খুত না একটু ওঠানে ও খাদ-কাটা ; কালে-কালো চোখ খুব তীক্ষ্ণ, অথচ দয়াদ্র । দেহের উচ্চতা মাঝামাঝি, পাতলা গঠন, স্নায়ু-প্রধান প্রকৃতি , দেহ • অতি সুকুমার প্রতীয়মান হইলেও ইস্পাতের মত