8 পাঠকের বোধ হয় মনে আছে, অক্টেভ লাবিন্স্কাকে ভালবাসে, এই কথা লাবিন্স্কাকে সে বলিতে উদ্যত হওয়ায় লাবিন্ধ তাহাকে থামাইয়া দেন, সে কথা তার মুখ হইতে বাহির করিতে দেন নাই ; সে কথা তিনি শুনিতে চান নাই। তখন হইতে দুই বৎসর চলিয়া গিয়াছে। সুখস্বপ্নের উচ্চ শিখর হইতে এইরূপ দারুণ পতন হওয়ায়, অক্টেভের চিও নৈরাপ্ত ও বিষাদের অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয় এবং অক্টেভ, লাবিনস্কাকে কোন সংবাদ না দিয়া দূর দেশে চলিয়া যায়। যে একটি মাত্র কথা অক্টেভ লাবিন্স্কাকে লিখিতে পরিত, সেই কথাটিই মুখ দিয়া বহির করিতে অক্টেভকে নিষেধ করা হইয়াছে। কাজেই লাবিন্স্ক অক্টেভের কোন সংবাদ পান নাই। অক্টেভের এই নিস্তব্ধতাতে ভীত হইয়া, লাবিন্ধ বিষঃচিত্তে স্বকীয় ভক্ত উপাসক বেচারী অক্টেভের কথা মধ্যে মধ্যে চিন্তা করেন—সে কি আমাকে ভুলিয়া গেছে ? লাবিন্স্কা চাহিতেন যে সে তাহাকে ভুলিয়া যায়— কিন্তু তাহ বিশ্বাস করিতেন না । কেন না, অক্টেভের চোখে তিনি যে প্রেমের আগুন জ্বলিতে দেখিয়াছেন, তাহ নির্ব্বাণ হইবার নহে ; কোণ্টেস তাহার হৃদয়ের অবস্থা বিলক্ষণ অবগত ছিলেন। প্রেম ও দেবতাদের মধ্যে বেশ একটা চেনী পরিচয় আছে—ইহারা পরস্পরকে দেখিবামাত্র চিনিতে পারেন। তাই এই প্রেমের কথাটা মনে হওয়ায় তাহার মুখের স্বচ্ছ আকাশের উপর দিয়া যেন একট ক্ষুদ্র মেঘ চলিয়া গৈল, পৃথিবীর দুঃখ-কষ্টে স্বর্গের-দেবতাদের যেরূপ দুঃখ হয়, সেইরূপ লঘু
পাতা:অবতার.djvu/৪১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।