অবতার ○> ধরণের একটু দুঃখ তার মনকে অধিকার করিল। তাহার জন্য কোন হতভাগ্য কষ্ট পাইতেছে মনে করিয়া সেই মমতাময়ী দেবীর অন্তঃকরণ একটু দ্রবীভূত হইল। কিন্তু আকাশের কোন উজ্জ্বল তারকার প্রেমে মুগ্ধ হইয়া যদি কোন সামান্ত মেষপালক উদ্বাহু হইয়া হাত বাড়ায়, তাহা হইলে সেই তারকা তাহার জন্য কি করিতে পারে ? প্যারিসে আসিয়া, কোণ্টে লাবিন্স্ক অক্টেভের নামে লৌকিক ধরণের একটা সাদামাটা নিমন্ত্রণ-পত্র পাঠাইয়াছিলেন। ঐ পত্রখানিই ডাক্তার বালথাজার শেরবোনো অন্যমনস্ক ভাবে এক্ষণে আঙ্গুলের মধ্যে নাড়াচাড়া করিতেছিলেন। কোণ্টেসের ইচ্ছা সত্ত্বেও যখন কোণ্টেস দেখিলেন, অক্টেভ আসিল না, তখন তার মনে হইল, সে এখনো তাঙ্গকে ভালবাসে, তবে হয়ত কোন বিশেষ কারণে আসিতে পারে নাই । এই মনে করিয়া কোণ্টেসের হৃদয় উৎফুল্ল চইল ; তবু তো এই রমণী স্বর্গের দেবতার মত বিশুদ্ধ-চরিত্র ও হিমালয়ের উচ্চতম শিখরস্থ তুষারের মত শুভ্র নিষ্কলঙ্ক । ডাক্তার অক্টেভকে বলিলেন —“তোমার বর্ণিত সমস্ত কথা আমি বেশ মন দিয়ে শুনেছি, আমার মনে হয়, এখন কোনপ্রকার আশা করা তোমার পক্ষে নিতান্তই পাগলামী । কোণ্টে কখনই তোমার ভালবাসা গ্রহণ করবেন না ।” —“দেখুন ডাক্তার, এইজন্তই আমার প্রাণ বাচাবার চেষ্টা করবার কোন হেতু দেখতে পাই নে ৷” ডাক্তার বলিলেন :–“আমি ত পূর্ব্বেই বলেছি, সচরাচর উপায়ে প্রাণ বাচাবার কোন আশা নাই। কিন্তু এমন সব গুহ তত্ত্ব ও নিগুঢ় শক্তি আছে যার সম্বন্ধে আধুনিক বিজ্ঞান একেবারে অনভিজ্ঞ । মুর্থ সভ্যতা যে সব দেশকে অসভ্য বলে, সেই সব বিদেশভূমিতেই এই গুহ বিদ্যার চর্চা বংশপরম্পরায় চলে অসচে। সেইথানেই জগতের
পাতা:অবতার.djvu/৪২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।