এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૭૨ অবতার আদিমকালে, মানবজাতি প্রাকৃতিক শক্তির সহিত অব্যবহিত সংস্রবে আসায় তার গুহা তত্ত্ব জানতে পেরেছিল । লোকের বিশ্বাস- সে সব তত্ত্ব নষ্ট হয়ে গেছে। এখন সাধারণ লোকে তার কিছুই জানে না। ঐ সব গুহ তত্ত্বের জ্ঞান প্রথমে মন্দির দেবালয়ের রহস্তময় নিবিড় অন্ধকারের মধ্যে শিষ্য-পরম্পরায় প্রচারিত হয় ; তার পর, ইতর লোকের অবোধ্য পবিত্র ভাষায় উহা লিপিবদ্ধ হয়, ইলোরার ভূগর্ভস্থ প্রাচীরের গায়ে খোদিত হয়। তুমি এখনও দেখতে পাবে, যেখান থেকে গঙ্গা নিঃস্থত হচ্চে সেই উচ্চতম মেরু-শিখরে, পুণ্যনগরী বারাণসীর প্রস্তর-সোপানের তলদেশে, সিংহলের ভগ্নদশাগ্রস্ত ডাগোবার গভীরদেশে কতকগুলি শতাবুঙ্ক ব্রাহ্মণ অপরিজ্ঞাত পুথির পাঠোদ্ধার করচেন, কতকগুলি যোগী অনির্ব্বচনীয় ওঁ-শব্দের জপে ব্যাপৃত রয়েছেন —ইতিমধ্যে আকাশের পাখী তাদের জটার মধ্যে বাসা বাধ চে– সেদিকে তাদের লক্ষ্যই নাই ; কতকগুলি সন্ন্যাসী র্যাদের স্কন্ধদেশ ত্রিশূলবিদ্ধ ক্ষতের চিহ্নে অঙ্কিত—তারা নষ্ট গুহ বিছা আয়ত্ত করেছেন এবং তা-থেকে আশ্চর্য্য ফল লাভ ক’রে, তা কাজে প্রয়োগ করচেন । আমাদের যুরোপ ভৌতিক স্বার্থে নিমগ্ন হয়ে, কল্পনাও করতে পারে না —ভারতের তপস্বীরা আধ্যাত্মিকতার কত উচ্চ ধাপে আরোহণ করেছেন, তাদের নিরন্থ উপবাস, তাদের ধ্যানধারণার ভীষণ একাগ্রতা, কত কত বৎসর ধরে’, দুঃসাধ্য আসন রচনা করে একভাবে উপবিষ্ট থাকা, প্রথর স্বর্য্যের নীচে জলন্ত অগ্নিকুণ্ডের মাঝে বসে শরীরকে শোষণ করা, —এ-সব রোপের সাধ্যাতীত তাদের হাতের নখ বদ্ধিত হয়ে র্তাদের হাতের তেলোতে বিদ্ধ হয়ে আছে—দেখলে মনে হয় যেন “ইজিপ স্তান মমি” তাদের সিন্দুক থেকে সদ্য বের হয়ে এসেছে। তাদের দেহের বহিরাবরণটা ধন প্রজাপতির খোলস ; প্রজাপতিরূপ