SW。 অবতার যে সব খোদাই কাজের বিগ্রহ আছে সেই সব বিগ্রহের তত্ত্বালোচনা করতে লাগলাম। এই সব গুপ্ত বিগ্রহ অদীক্ষিত লোকের আদর্শনীয়। কিন্তু আমার ব্রাহ্মণের বেশ ছিল বলে আমি সেই গুপ্ত কক্ষের মধ্যে প্রবেশ করতে পেরেছিলাম ; স্বষ্টিতত্ত্বের রহস্ত, লুপ্ত সভ্যতার অনেক *কাহিনী আমি পড়তে পারলাম ; দেব-দেবীরা তাদের বহু হস্তে যে সব জিনিস ধারণ করেন, তার রূপক-অর্থ আমি আবিষ্কার করলাম। ব্রহ্মার চক্রের উপর, বিষ্ণুর পদ্মের উপর, নীলকণ্ঠ শিবের সপের উপর আমি ধ্যান করতে লাগলাম। গণেশ তার স্থলচর্ম্ম গুণ্ড নাড়তে নাড়তে দীর্ঘপহ্মবিশিষ্ট ছোট ছোট পিট-পিটে চোখ মেলে, একটু মৃদ্ধ হেসে যেন আমার এই সব গবেষণার চেষ্টায় উৎসাহ দিচ্ছিলেন। এই সব বিকট মূর্ত্তি তাদের প্রস্তর-ভাষায় আমাকে যেন বলতে লাগল – আমরা কতকগুলি আকার বই আর কিছুই নয়, আসলে আত্মাই জড়পিণ্ডের পরিচালক।” “তিরুণামলয়”-মন্দিরের পুরোহিতের কাছে আমার সঙ্কল্পের কথা খুলে বলায়, তিনি একজন সিদ্ধ পুরুষের ঠিকানা আমাকে বলে দিলেন । সেই সিদ্ধ পুরুষ যোগী এলিফান্টার গুহায় বাস করেন। আমি সেখানে গেলাম, গিয়ে দেখলাম –গুহার দেয়ালে ঠেসান দিয়ে, বাকল বস্ত্রে আচ্ছাদিত হয়ে, হাটু চিবুকে ঠেকিয়ে, হাতের আঙ্গুলগুলা পায়ের উপর আড়াআড়ি ভাবে রেখে একেবারে নিশ্চল হয়ে বসে আছেন। চোখের তারা ওন্টান—কেবল চোখের সাদা দেখা যাচ্ছে—ঠোট অনাবৃত দাতকে চেপে আছে। গায়ের চামড়ায়কৰ ধরেছে –চর্ম্ম অস্থিলগ্ন। চুল জটা পাকিয়ে পিছনে ঝুলে আছে। তার দাড়ি দুইভাগে বিভক্ত হয়ে লুটিয়ে পড়েছে ; গৃধ্ৰুের নখের মত র্তার নখ বেঁকে ঘুরে গেছে। * ভারতবাসীর মত তার গায়ের রং স্বভাবতঃ, স্যামবর্ণ, কিন্তু প্রখর
পাতা:অবতার.djvu/৪৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।