এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবত:র Óዓ স্বর্ঘ্যের তাপে কালো পাথরের মত কৃষ্ণবর্ণ হয়ে গেছে। প্রথম দৃষ্টিতে আমার মনে হ’ল, লোকটা মৃত ; বাহু ধরে নাড়া দিতে লাগলাম— মৃগারোগে ঘে-রকম হয় --বহুঠটো শক্ত ও আড়ষ্ট হয়ে গেছে । আমাকে সাতে দীক্ষিত বলে জানতে পারেন, তাই আমার দীক্ষা-মন্ত্র তার কাণের কাছে উচ্চৈঃস্বরে বলতে লাগলাম ; কিন্তু তবুও নড়ন-চড়ন নেই, চোখের. পাতা একেবারে স্থির নিশ্চল। আমি তাকে জাগিয়ে তুলতে না পেরে চলে যাচ্ছিলাম, এমন সময় একটা অদ্ভুত ফট্ ফট্‌ শব্দ শুনতে পেলুম ; বিছাং-আলোর মত একটা নীলাভ স্ফুলিঙ্গ চকিতের ন্যায় আমার চোখের সামনে দিয়ে চলে গেল ; সেই ফুলিঙ্গ যোগীর আধ-খোলা ঠোটের উপর মুহূর্ত্তকাল সঞ্চরণ করে একেবারেই অন্তর্হিত হল। ব্রহ্মলোগম্ (এই তাপসের নাম) মনে হল যেন নিদ্রাবস্থা থেকে জেগে উঠলেন । র্তার চোখের তারা আবার যথাস্থানে এল ; তিনি সদয়ভাবে আমার দিকে তাকিয়ে আমার প্রশ্নের উত্তর দিতে লাগলেন । “দেখ, তোর বাসন পূর্ণ হয়েছে ; তুই একটি আত্মাকে দেখতে পেয়েছিস্ । আমার ইচ্ছামত আমার আত্মীকে শরীর থেকে আমি বিযুক্ত করতে পারি। জ্যোতির্ম্ময় ভ্রমরের মত এই আত্মী শরীর থেকে বাহির হয়, আবার শরীরের মধ্যে প্রবেশ করে, তা’ কেবল সিদ্ধ পুরুষেরই দৃষ্টিগোচর হয়। আর কেউ দেখতে পায় না । আমি কত উপবাস করেছি, কত আরাধনা করেছি, কত ধ্যান-ধারণা করেছি, কি কঠোর ভাবেই দেহকে ণীর্ণ করেছি—তবে আমি আমার আত্মীকে পাখির বন্ধন থেকে মুক্ত করতে পেরেছি এবং অবতা#মূর্ত্তি-গ্রহণের সময় যে রহস্যময় মহামন্ত্র বিষ্ণু-অবতারকে পথপ্রদর্শন করেছিল, সেই মঙ্গমস্ত বিষ্ণুদেব স্বয়ং আমার নিকট প্রকাশ করেছেন। যদি নিদিষ্ট মুদ্রাভঙ্গীসহকারে ভূমি সেই মন্ত্র উচ্চারণ করি, তাহা হইলে, পশু কিংবা মানুষ, যার শরীরে