(t চিকিৎসা ও বুজরুগি শক্তির জন্ত, পারী নগরে ডাক্তার বালথাজাৰু শেরবোনোর খুব পসার হইয়াছে ; সত্যই হোক, মিথাই হোক্ ৰ্তার এই সব আজগুবি কাণ্ডের দরুণ, সর্ব্বত্রই তার এখন আদর সম্মান । কিন্তু রোগী পাইবার চেষ্ট দূরে থাকৃ, তার নিকট রোগী আসিলে, দরজা বন্ধ করিয়া উহাদিগকে ভাগাইয়া দেন, অথবা এরূপ ঔষধ-পত্র লিথিয়া দেন যাহা অতি অদ্ভূত এবং এরূপ নিয়ম ব্যবস্থার কথা বলেন, যাহা পালন করা অসম্ভব । ‘নিউমোনিয়া’, ‘এণ্টেরাইটিস', 'টাইফয়েড’—এই সব চলিত সাদামাটা, সাধারণ ইতর জনোটিত রোগে আক্রান্ত রোগীদিগকে অত্যন্ত অবজ্ঞার সহিত তাঁহাদের আগেকার ডাক্তারদের নিকট ফিরাইয়া পাঠাইয়া দেন। দুরারোগ্য উৎকট সেখীন রোগে আক্রান্ত রোগীরই তিনি চিকিৎসা করেন ; এবং তার চিকিৎসায় রোগ অভাবনীয়রূপে আরোগ্য লাভ করে। রোগ-শয্যার পার্থে দাড়াইয়া, তিনি এক পেয়ালা জলে ফু দিয়া মায়া-মন্ত্র উচ্চারণ করিতে করিতে নানাপ্রকার মুদ্রাভঙ্গী করেন। মুমুধুর অঙ্গ-প্রতঙ্গ শক্ত, আড়ষ্ট ও ঠাণ্ড হইয়া গিয়াছে, উহাকে সমাধি ভূমিতে লইয়া যাইবার উদ্যোগ চলিতেছে —সেই সময় উহার যন্ত্রণায় আড়ষ্ট দৃঢ়বদ্ধ চিবুক শিথিল করিয়া দিয়া ঐ মন্ত্রপুত জলের কয়েক ফোটা উহাকে গিলাইয়া দেওয়া হয়l; তাহার পরেই রোগীর দেহের স্বাভাবিক নমনীয়তা, স্বাস্থ্যের রং আবার ফিরিয়া আসে। রোগী শ্যার উপর উঠিয়া বসিয়া বিক্ষিতভাবে চারিদিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে। তাই শেরবোনোকে সবাই মৃত্যুর ডাক্তার বুলে, মৃতীবনের ডাক্তার বলে ।
পাতা:অবতার.djvu/৫০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।