'83 অবতার ডাক্তার, ওলাফের দিকে হাত বাড়াইয়া দিলেন। ওলাফ অসোয়াস্তি অনুভব করিতেছেন, ডাক্তার বুঝিতে পারিয়াছিলেন—তাই, দুই-তিনবার হাতের ঝাড়া’ দিয়া তাহার চারিদিকে বসন্তের আবি-হাওয়া উৎপাদন করিলেন,—এই উত্তপ্ত জ্বালাময় নরকের মধ্যে সুশীতল স্বর্গের আবির্ভাব ঘটাইলেন । “এখন ত আপনি ভাল বোধ করচেন ? আপনি বণ্টিকের তুষারশীতল হাওয়ায় অভ্যস্ত, তাই ঘরের এই উত্তপ্ত হাওয়া, কামারের কারখানায় হাঁপরের জ্বলন্ত হওয়ার মত আপনার মনে হচ্চিল — কিন্তু ভারতের প্রখর সুর্যকিরণে দগ্ধ-বিদগ্ধ যে আমি, এই উত্তাপেও আমি শীতে কঁপিছিলাম।” কেন্টি ওলাফ একটা ইঙ্গিত করিয়া প্রকাশ করিলেন যে এখন আর তাহার গরমে কষ্ট হইতেছে না । ডাক্তার অতি সরলভাবে বলিলেন,—“অপনি অবশ্য আমার ঝাড় দেওয়া’র কথা, আমার সম্মোহন বিদ্যর কথা শুনেছেন ?—তবে কি একটা নমুনা এখন দেথতে ইচ্ছা করেন ?” কৌটি উত্তর করিলেন :—“আমার কৌতুহল ওরূপ ছেলে-মানষি ধরণের নয়। যিনি একজন বিজ্ঞানের সম্রাটু, তার উপর আমার শ্রদ্ধা-ভক্তি উহা অপেক্ষ অনেকটা বেশী।” —“বৈজ্ঞানিক বল্লে যে অর্থ বোঝায় আমি সে অর্থে একজন বৈজ্ঞানিক পণ্ডিত নই ; বরং বিজ্ঞান যে সকল জিনিসকে অবজ্ঞা করে, সেই সকল জিনিসের নুশীলন করে আমি অপ্রযুক্ত কতকগুলি গৃঢ় শক্তিকে আয়ত্ত করেছি, এবং তার থেকে এমন সব ব্যাপার দেখাতে পারি, যা প্রাকৃতিক হ’লেও অত্যন্ত বিস্ময়জনক বলে মনে হয় । निड़ोन যেমন ইদুর ধরবার , জন্ত ঘাপটি মেরে বসে থাকে, আমিও
পাতা:অবতার.djvu/৫৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।