$8vყ অবতার একটা পর্দার শিকের উপর দিয়া কতকগুলা আঙ টা সরাইয়া দিবামাত্র ঘরের পশ্চাদ্ভাগের একটা প্রচ্ছন্ন কুঠরী বাহির হইয়া পড়িল। র্তাবার টেপাইয়ের উপর মুরাসারের অগ্নিশিখা জ্বলিতেছিল, তাহার আলোকে কৌন্ট ওলাফ যে দৃষ্ঠ দেখিলেন তাহ অতি ভীষণ, তাহ দেখিয়া এমন যে সাহসী পুরুষ কেন্ট, তাহারও সর্ব্বাঙ্গ শিহরিয়া উঠিল। একটা কালো টেবিলের উপর কটিদেশ পর্যন্ত নগ্ন একটি যুবাপুরুষ শয়ন—শবের মত নিশ্চল। শরশয্যাশায়ী ভীষ্মের মত তাহার দেহে কতকগুলো শলাকা বিদ্ধ হইয়া রহিয়াছে, কিন্তু তাহা হইতে একবিন্দুও রক্ত ঝরিতেছে না। দেখিলে মনে হয় যেন কোন ধর্ম্মবীর ‘মার্টারের মূর্ত্তি, কেবল ক্ষতস্থানে চিত্রকর যেন লাল রং দিতে ভুলিয়া গিয়াছে । ওলফ মনে মনে ভাবিলেন, এই ডাক্তার বোধহয় শিবের একজন ভক্ত উপাসক—এই লোকটিকে বোধ হয় শিবের নিকট বলি দিবার মতলব করিয়াছে। “ওর কিছুই কষ্ট হচ্চে না ; ওর গায়ে চিম্টি কেটে দেখুন, ওর মুখের একটি পেশিও নড়বে না।” এই কথা বলিয়া আলপিনের গদি হইতে আলপিন বাহির করিবার মত ডাক্তার উহার গাত্র হইতে শলাকাগুলো বাহির করিয়া লইলেন । উহার উপর তাড়াতাড়ি কয়বার হস্ত-সঞ্চালনের পর বা ঝাড়া দিবার পর, উহার ওষ্ঠাধরে যোগানন্দের একটি মৃদু-মধুর হাসির রেখা দেখা দিল—যেন সে একটা মুখস্বপ্ন হইতে জাগিয়া উঠিয়াছে। একটা ইঙ্গিত করিয়া ডাক্তার শেরবোনো তাকে ছুটি দিলেন। কাঠের কারুকার্য্য-ভূষিত ঐ প্রচ্ছন্ন কোষ্ঠের কাষ্ঠকাঠামের মধ্যস্থিত একটা কাটা দরজা দিয়া সে প্রস্থান করিল। মৃদু হাসির ছলে ডাক্তার মুখের বলি রেখাগুল বেণী পাকাইয়া বলিলেন,— • “আমি ওর একটা পা কিংবা হাত কেটে ফেলতে পারতাম,—ও
পাতা:অবতার.djvu/৫৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।