6:ર অবতার স্তস্ত । গথিক্ মঠের ভিতর সমাধিস্থানের উপরে, যে সকল বীরপুরুষের প্রতিমূর্ত্তি দেখা যায় তাহাতে ঘাড়ের নীচে খোদাই-কাজ করা একটা মার্ব্বেলের বালিস থাকে—এ যেন ঠিক সেই রকম। এই সুন্দর ও মহান মুক্তির অভ্যন্তরস্থ আত্মাকে অক্টেভ বেদখল করিতে যাইতেছে,—এই চিন্তায় তার মনে একটু অনুতাপ উপস্থিত হইল । অক্টেভ এইরূপ চিন্তা করিতেছিল, কিন্তু ডাক্তার মনে করিলেন, বুঝি অক্টেভ এখনো ইতস্ততঃ করিতেছে। ডাক্তারের ঠোঁটের ভাজের উপর দিয়া একটা অস্পষ্ট অবজ্ঞার হাসি চলিয়া গেল—ডাক্তার অক্টেভকে বলিলেন :– “তুমি যদি মন স্থির না করে থাক, তাহলে আমি কৌন্টকে জাগিয়ে দিতে পারি। আমাৰু চৌম্বক-শক্তি দেখে আশ্চর্য্য হয়ে, যেমন তিনি এসেছিলেন তেমনি আবার ফিরে চলে যাবেন ; কিন্তু ভাল করে ভেবে দেখ, এ রকম স্থযোগ আর কখনো পাওয়া যাবে না । সে যাই হোক, তোমার প্রেমের সম্বন্ধে আমার বেশ একটু দরদ হয়েছে, একটা পরীক্ষা করতে আমার ইচ্ছে হয়েছে—সে রকম পরীক্ষা যুরোপে আমি কখনো চেষ্টা করিনি। আমি তোমার কাছে এ কথা লুকোতে চাইনে যে এই আত্মার বিনিময় ব্যাপারে একটু বিপদ আছে। তোমার বুকে হাত দিয়ে তোমার অন্তরাত্মাকে জিজ্ঞাসা কর । তোমার জীবন-পাশার যা সব চেয়ে বড় দান তা পাবার জন্ত কি তুমি মুক্ত হৃদয়ে তোমার জীবনকে সঙ্কটার করতে রাজি আছ ? শাস্ত্রে আছে প্রেম মৃত্যুরই মত বলবান ।” , অক্টেভ শুধু এই উত্তর দিলেন – ' —“আমি প্রস্তুত আছি।"
পাতা:অবতার.djvu/৬৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।