* ७२ অবতার সেই ধাপগুলার উপর ঘোর রক্তবর্ণ গালিচার এক বিস্তৃত ফালি তাবা আঙটায় আটকানো রহিয়াছে ; ধাপে-ধাপে স্থাপিত ফুলদানীতে সুন্দর সুন্দর বিদেশী পুষ্প শোভা পাইতেছে। ঘর-কাট-কাটা একটা প্রকাণ্ড ল্যাণ্ঠান একটা মোট বেগুনি রেশমী দড়িতে ঝুলিতেছে—ঐ দড়ি ঝাপ্পা ঝালোরে বিভূষিত। ঘরের দেওয়াল মার্বেলের মত পালিশ-করা সাদা চুণ-বালির কাজে মণ্ডিত ; দেওয়ালের গায়ে কানোভা-রচিত “আত্মায় প্রেমের চুম্বন” এই ছবির একটি নকলচিত্র ঝুলিতেছে—তাহার উপর ল্যাণ্ঠান-নিঃস্বত সমস্ত আলোকচ্ছট প্রক্ষিপ্ত হইয়াছে । সিড়ির মাথাটা মোজেয়িক কারুকার্য্যে অলঙ্কত ; সিড়ির দেওয়ালের গায়ে চারিজন বিখ্যাত চিত্রগুণীর চারিখানা চিত্র রেশমী দড়িতে ঝুলিতেছে—চিত্রগুলি এই জমকালো সিড়ির সহিত বেশ খাপ খাইয়াছে। সিড়ির মাথার উপরে, সোনার পেরেক-মারা একটা পশমী কাপড়ের উচু দরজা। অক্টেভ-লাবিন্স্কি সেই দরজা ঠেলিবামাত্র একটা বিশাল পার্শ্বপ্রকোষ্ঠে আসিয়া পড়িল । সেই পার্শ্বপ্রকোষ্ঠে জমৃকালে সাজে সজ্জিত কতকগুলি ভূত্য নিন্দ্রা যাইতেছিল। অক্টেভ সেখানে আসিবামাত্র, কল-কাটি টিপিলে যেরূপ হয়—তখনি ধড়ফড় করিয়া উঠিয়া, প্রাচ্যদেশের গোলামের মত দেওয়ালের ধারে উহার সারি দিয়া দাড়াইল । অক্টেভ বরাবর চলিতে লাগিল। পার্শ্বপ্রকোষ্ঠের পরেই সাদা ও সোনালি রঙের এক বৈঠকখানা । এই বৈঠকখানায় কেহই ছিল না । অক্টেভ একটা ঘণ্টায় টান দিবামাত্র এক রমণী আসিয়া উপস্থিত হইল। “গৃহিণী-ঠাকুরাণীর দর্শন কি পাওয়া যেতে পারে ?” —“রাণী এখন কাপড় ছাড়বার উদ্যোগ করচেন ; একটু পরেই দেখা দেবেন।” {j
পাতা:অবতার.djvu/৭৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।