অবতার ఆ কোচ ম্যান জিজ্ঞাসা করিল—“কোথায় যাইবেন ?" সবুজ-পোষাকপর তার কোচ ম্যান সচরাচর যে স্বরে তাকে এই কথা জিজ্ঞাসা করিত, সেই স্বর শুনিতে না পাইয়া তার গোলমাল ঠেকিল,—তিনি বিস্থিত হইয়া উত্তর করিলেন :– “আমার বাড়ী—আবার কোথায় ? এখন এই ব্রুহাম গাড়িতে উঠিয়া দেখিলেন, গাড়ীটা ঘোর নীল রঙের ফুল-কাটা পশমি কাপড়ে মণ্ডিত; সাটিন-মোড়া বোদামে বিভূষিত। এই সব প্রভেদ সত্ত্বেও তিনি উহা নিজের গাড়ী বলিয়া মানিয়া লইলেন । যেরূপ স্বপ্নে, সচরাচর দৃষ্ট পদার্থ অন্ত আকারে দেখা দিলেও সেই পদার্থ বলিয়াই মনে হয়, ইহাও কতকটা সেইরূপ । ইহাও তাহীর মনে হইল, তিনি আসলে যাহা, তাহা অপেক্ষাও যেন থাটো ; তা’ ছাড়া তার মনে হইল, তিনি ডাক্তারের বাড়ী কোট পরিয়া গিয়াছিলেন এবং সেই পরিচ্ছদ তিনি যে পরিবর্তন করিয়াছিলেন, তাত ত ঠার স্মরণ হয় না—এখন দেখিলেন, একটা পাতলা কাপডের আলখাল্লা পরিয়া আছেন ; এ পরিচ্ছদ তার কাপড়ের আলমারি হইতে ত কখনই বাহির হয় নাই! তিনি অনচুভূতপূর্ব্ব একটা সঙ্কোচ অনুভব করিতে লাগিলেন, প্রাতঃকালে তার চিন্তাপ্রবাহ এমন স্বচ্ছ ছিল, এখন যেন সমস্তই কুয়াসাচ্ছন্ন হষ্টয়া গিয়াছে। সেই সান্ধ্য বৈঠকের অপূর্ব্ব অদ্ভুত দৃগুগুলার উপর তিনি এই অবস্থাটা আরোপ করিষা ঐ বিষয়ের চিন্তায় মন দিলেন না ; গাড়ীর কোণে মণ্ডু রাখিয়া একটা এলোমেলে: চিন্তাপ্রবাহে না-নিদ্রা না-জাগরণ এইরূপ একটা তন্ত্রাবস্থার মধ্যে আপনাকে ছাড়িয়া দিলেন । & ঘোড়া এক জায়গায় আসিয়া থানিয়া পড়ায় এবং কোচ মদউচ্চৈঃস্বরে “ফাটক”, বলিয়া চীৎকার করিয়া উঠায়, তিনি আপনাতে
পাতা:অবতার.djvu/৭৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।