এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবতার Գ6ք উষ্ঠত হয়েছ, যা আমার হতাশ আত্মা চিরকাল- অনন্তকাল স্মরণ করবে !” কৌন্টের মস্তিষ্ক অগ্নিময় আবেগ-তরঙ্গে আলোড়িত হইতে লাগিল। কখন বা অস্পষ্ট রাগের কথা মুখ দিয়া বাহির হইল, কখন বা মুষ্টিকণ্ডয়ন অনুভব করিতে লাগিলেন, ঘরের মধ্যে হিংস্র পশুর মত অস্থির ভাবে পায়চালি করিতে লাগিলেন । তাহার অস্পষ্ট অঙ্কংজ্ঞান, যেন উন্মাদে আচ্ছন্ন হইবার মত হইল। তিনি চুটিয়া অক্টেভের প্রসাধনকক্ষে গেলেন, জলের বাসনে জল ভরিয়া, তাহার মধ্যে মাথা ডুবাইলেন। যখন মাথা উঠাইলেন, তখন সেই কনকনে তুঘার-শীতল জলে সিক্ত মাথা হইতে বাষ্প-ধূম উত্থিত হইতেছিল। তাহার রক্ত আবার ঠাণ্ড হইয় আসিল । তিনি মনে মনে ভাবিলেন, ঘাড়গিরি ও ডাইনীমন্ত্রতন্ত্রের দিন ত চলিয়া গিয়াছে। মৃত্যুই কেবল আত্মাকে শরীর হইতে বিযুক্ত করিতে পারে। একজন পোলাণ্ডের কেন্ট, যে প্যারিসে বাস করে, রথচাইল্ডের কাছে যাহার লক্ষ লক্ষ টাকা ধার আছে, যে বড় বড় বংশের সহিত সম্বন্ধস্থত্রে আবদ্ধ, একজন সোর্থীন রূপসী যাকে পতিত্বে বরণ করেছে, প্রথম শ্রেণীর রাজ-সম্মানে যে বিভূষিত, তা’কে কি কোন বাজিকর এই রকম করে চোখে ধূলো দিতে পারে? এ নিশ্চয়ই সেই বালথাজার শেরবোনোর কাজ—আমাকে লইয়া সে একটু মজা করিয়াছে ; কিন্তু ইহাতে তার কুরুটিরই পরিচয় পাওয়া যায়। এখন এই সমস্তের ব্যাখ্যা একমাত্র সেই করিতে পারে । তিনি শ্রান্ত ক্লান্ত হইয়া তাড়াতাড়ি অক্টেভের শয্যায় গিয়া শুইয়া পড়িলেন। শুইবামাত্র গভীর নিদ্রায় নিমগ্ন হইলেন। ঘুম ভাঙ্গিয়াছে মনে করিয়া তাহার চাকর এক সময়ে আসিয়া, তাহার চিঠিপত্র ও খবরের কাগজাদি টেবিলের উপর রাখিয়া গেল। * .