b"歌 অবতার হইয়াছে। ইহার কতকগুলি টুক্রা নিম্নে দেওয়া যাইতেছে—কৌণ্ট উদ্বেগপূর্ণ কৌতুহলের সহিত এইগুলা যেন গিলিতে লাগিলেন – “সে কখনই আমাকে ভালবাসবে ন!—কখনই না, কখনই না ! তার চোখের দৃষ্টি এমন কোমল, কিন্তু ঐ কোমল দৃষ্টির মধ্যে সেই নিষ্ঠর কথাটি আমি পাঠ করেছি—যার চেয়ে কঠোর কথা আর নাই— যে কথাটি কবি দান্তে র্তার বিষাদপুরের তোরণ-দ্বারের উপর লিগে রেখেছেন,—“সব আশা ত্যাগ কর।” আমি কি করেছি যে ভগবান জীবন্ত অবস্থাতেই আমাকে নরক ভোগ করলেন ? কাল, পরশু, চিরদিন এই একই ভাবে চলবে । তারকামণ্ডলের মধ্যে পরস্পর পথ কাটাকাটি হতে পারে, নক্ষত্রে নক্ষত্রে যোগ হয়ে পুটলি পাকিয়ে যেতে পারে, তবু আমার অবস্থার কোন পরিবর্তন হবে না । সেই রমণী আমার স্বপ্ন শন্তে বিলীন করে দিয়েছে ; এক ইঙ্গিতে আমার কল্পনার ডানা ভেঙ্গে দিয়েছে । যত মিথ্যা অসম্ভব সদ একত্র হয়েও আমাকে একটা সুযোগ করে দিচ্চে না ; ভাগ্যপাশায় কত লোকের কত ভাল ভাল দান পড়ছে—হায়! আমার অদৃষ্টে একটিও পড়ল না !” “আমি হতভাগ্য, আমি বেশ জানি স্বর্গের দ্বারদেশে আমি মূঢ়ের মত বসে আছি, আমি নীরবে অশ্রুপাত করচি—উৎসের সহজ ধারার মত অবিরত চোখ দিয়ে অশ্র ঝরচে । আমার সে সাহস নেই যে এখান থেকে উঠে গিয়ে কোন গভীর অরণ্যে প্রবেশ করি।”
- কখন কখন রাত্রে যখন নিদ্রা হয় না, আমি প্রাস্কোভিকে ধ্যান করি ; যদি নিদ্রা আসে,—প্রাস্কোভিকেই স্বপ্নে দেখি : আহা, ফ্লরেন্স নগরে সেই রাগান-বাড়ীতে তাকে কি সুন্দরই দেখাচ্ছিল ! সেই শুভ্র পরিচ্ছদ, সেই সব কালো ফিতা—একাধারে চিত্তবিমোহন ও মরণ