পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হয়েছে, কুঁকড়োর এবারে কর্ম কাবার। খরগোশগুলো গড় থেকে ছুটে বেরিয়ে এল, একটা বাচ্ছ কান খাড়া” করে দেখে বললে, ‘পাখমার বন্দুকটা মুচড়ে ভাঙলে যে। আর একজন অমনি বলে উঠল, না রে, গুলি ভরছে, দেখছিস না ? জিম্মার দিকে সোনালি, সোনালির দিকে জিম্মা অবাক হয়ে চেয়ে রইল। জিন্ম বললে, ‘ওরা. কি কুঁকড়োর ওপরেও গুৰি চালাবে ’ সোনালি বললে, “না। সোনালির দেখা যদি পায়, তবে সেইদিকেই বন্দুক ওঠাবে।’ বলে সোনালি চলল। জিন্ম পথ আগলে বললে, “কোথায় যাও সোনালি ? ‘আমার যেটুকু করবার সেই কাজটুকু করতে ’ বলে বন্দুকের মুখে সোনালি উড়ে পড়তে চলল। কাঠঠোকরা চেচিয়ে উঠল, 'ফাদ । ফাদ । ফাদটা বঁচিয়ে সোনালি। কিন্তু তার আগেই সোনালিকে দড়ির ফঁাদ নাগপাশের মতো জড়িয়ে ফেলেছে। তারা তাকে প্রাণে মারবে ।’ বলে সোনালি ধুলোর উপরে সোনার পাখা লুটিয়ে কাদতে লাগল। তার সব অভিমান চুর হয়ে গিয়ে কান্নার স্বরে মিনতি করতে লাগল কেবলি সকালের কাছে, ‘হিমে সব ভিজিয়ে দাও, বারুদ না জলুক ? ভিজে ঘাসে শিকারীর পা পিছলে যাক অন্ত দিকে ! ওগো সকালের আলো, তুমি তোমার পাখিকে রক্ষে করে, যে-পাখি আঁধার দূর করে, আকাশের বাজকে ফিরিয়ে দেয়, সবার উপর থেকে । ওগো স্বপনপাখি, তুমি গেয়ে ওঠে, চুলে পড়ুক দুরন্ত মানুষের চোখের পাতা, স্বপ্নের রাজ্যে সে ঘুমিয়ে থাক, তার মৃত্যুবাণের পাশাপাশি । স্বপনপাখি গেয়ে উঠল বন মাতিয়ে করুণ সুরে, “পিয়-পিয়, ও গোলাপের পিয়, ও আমাদের পিয়।’ সোনালি দুখানি ডানা ধুলোর উপরে রেখে বললে, ‘আলো । তোমার পাখিকে বাচাও, তার সঙ্গে সেই গোলাবাড়িতেই আমি চিরদিন থাকব, আর কোনোদিন অভিমান করব না তার উপরে। অমনি সোনালি দেখলে আলে। ovరి