সাদ মুরগি তাৰে থমকে বললে, “অত ব্যস্ত কেন ? আলসেটা ভাঙবে নাকি ? পায়র ডান চুলকে বললে, না, না, তবে কিনা আমরা তাকে ছেরেদ্ধা করে থাকি..? সাদি বুক ফুলিয়ে বলে উঠল, ছেরেদ্ধা কে না করে ' খোপ ছেড়ে আসবার সময়, কবুতনিকে সে ফিরে এসে যে জগদ্ববিখ্যাত পাহাড়তলির কুঁকড়োর রূপ-বর্ণনা শুনিয়ে দেবে, দিব্যি করে এসেছে, সাদিকে পায়রা সে কথা বলে নিলে। সাদি ইতিমধ্যে আবার ধান খুটতে লেগেছিল, সে পায়রার কথার উত্তর দিলে, চমৎকার, দেখতে চমৎকার, এ কথা সবাই বলবে।’ পায়ুর বলছিল, কতদিন খোপের মধ্যে বসে তারা দুটিতে র্তার ডাক শুনেছে, নীল আকাশ ভেদ করে আসছে, সোনার সূচের মতো ঝকঝকে সেই ডাক, আকাশ আর মাটিকে যেন বিনি সুতোর মালাখানিতে বেঁধে এক করে দিয়ে। কুঞ্জলতার আড়ালে বেড়ার গায়ে ভাঙা খাচায় তাল-চড়াই এদিক-ওদিক করছিল, হঠাৎ বলে উঠল, “ঠিক ঠিক, সবারি প্রাণ তার জন্তে ছটফটায়।’ এক মুরগি বলে উঠল, কার কথা হচ্ছে, আমাদের কুঁকড়োর নাকি ? চড়াই বলে উঠল, "কুঁকড়ো কি শুধু তোদেরই না তোরাই শুধু তার । তুই মুই সেই, তোরা মোরা তারা, তোদের মোদের তাদের, সবাই তার, সে সবার ' দূরে গোবদামুখো পেরু বসে বসে এই-সব কথা শুনছিল, এখম আস্তে আস্তে পায়রার কাছে এসে, কুঁকড়ো যে এল ব'লে এবং এখনি যে সে তার চক্ষুকর্ণের বিবাদ ভঞ্জন করে কুঁকড়োকে দেখে জীবন দার্থক করতে পারবে, এই কথা খুব ঘটা করে জানিয়ে দিৰুে পায়রা' বললে, পেরু মশায়, আপনিও তাকে চেনেন ?
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/১৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।