পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এর ইদিকে বাছড়বাগান, সেখানটায় আছরে ছেলেমেয়েদের নিয়ে যাওয়া মুশকিল, কেন না, গেলেই আহরের কলাগুলি বাহুড়ে খেয়ে ফেলবে। তাই বলি জগন্নাথঘাটের ধারে দাড়িয়ে জোড়াবাগানের হনুমান আর জাম্বুবানকে, ও হনুমান কলা খাবি, ওঁ জাম্বুবান কচু-পোড়া খাবি, জয়-জগন্নাথ দেখতে যাবি বলে চল হাতিবাগানে রাজহস্তি দেখতে। কী খুজিছ ? আমাদের তেঁতলা বাড়িটা ? ওই দেখ জোড়ার্সাকোর স্থটো পুল, তার মধ্যে খানিকটা ফঁাকা জায়গা, ওখানে লেখা রয়েছে পৗরবাগান ওই রয়ের মাথার যে শূন্তটি, ঠিক তারি মাঝে দেখ আমাদের বাড়ি। খুব ছোট দেখা যাচ্ছে। চল এইবার রাজাবাগানে হাতি ঘোড়া গোর গোরা দেখে আসি । কিন্তু বলি, চৌরঙ্গী এত বড়ো রাস্তা যে, সেখানে পায়ে হেঁটে সব দেখতে চেষ্টা করেছ কী 'চৌরঙ্গী বাতে পঙ্গু হয়ে তার পরদিনই বিছানায় পড়েছ। চল বাবুঘাটে পানসি চড়ি, পা বাঁচবে-চারটে পয়সা গেলেই বা । , ওই যে গঙ্গার ধারে-ধারে কেল্লার সামনে সারি-সারি সব, ওগুলো গাছ নয়, জাহাজের মাস্তুল । দেখছ জাহাজের যেন বন একটা । ওই যে কেল্লার মধ্যেখানে মস্ত একটা মোটা থামের মতে, যার মাথায় একটা শিকে প্রকাও একটা কামানের গে’ল। গাথা রয়েছে, ওইটে হচ্ছে তোপ। ওই গোলা যেমন পড়বে দিনের বেলায় দুম করে মাটিতে, অমনি সবার ঘড়ি খুলে দেখতে হবে ঘড়ি চলছে কিনা। আবার ওই গোলাটা শিক বেয়ে আস্তে-অস্তে আকাশের দিকে উঠতে-উঠতে দুপ করে.যেমনি রাত নটায় নিচে পড়বে, অমনি যে যেখানে আছ হাই তুলে তিনবার তুড়ি দিতে হবে, এ না করলে তোমার নিন্দে হবে। জোড়ার্সাকেহিয়ে রায়বাগানে ঢুকতে হলে মহড়ায় যেমন পীরের দরগা, তেমনি কালিঘাট হয়ে রাজাবাগানে ঢুকতে হলে প্রথমেই আলিপুর। সেখানে হাতিবাগানে দেখবে গজহস্তী শুড় দোলাচ্ছে, \లి: