পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/১৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

dौन व्रम्श সবাই যাত্রা দেখেছে, কিন্তু যেখান থেকে যাত্রাগুলো জ্যান্ত হয়ে, নানারকম সঙ সেজে, শাদী ফরাসপাতা আসরে এসে রঙ্গ-ভঙ্গ দেখায়, সেই গিরিনরুম কটা লোক দেখেছে ? ওই যে সবুজ পর্দ, কী ছেলে কী বুড়ো, যাত্রাওলা না হলে ওর ওদিকে যাবার যে নেই, আর ওদিকে কী হয় তা দেখবার ও উপায় নেই। চারদিকে কাঠগড়া, শাদা ফরাস পাতা জায়গাটা হল আসর, সেখানে কাদা পায়ে যদি ছেলেরা ঘুরে বেড়ায় তাতে কেউ আপত্তি করবে না, এমন কি যাত্রার ঢোল, বেহালা, হারমোনিয়া, অধিকারীর খাতা, সব তুমি খুব কাছে থেকে গিয়ে ছুয়ে পর্যন্ত দেখতে পার কিন্তু গিরিনরুমের দিকে এক পা বাড়িয়েছ কি আমনি, ‘এদিকে নয়—ওদিকে যাও । তাতেও যদি আর এক পা এগোও তবে শুনতে হবে, এখানে কী করছ ছোকরা ? পালাও । কিন্তু পর্দায় হাত দিয়েছ কি, রাবণ, হনুমান, জাম্বুবান, রাক্ষস, খোঙ্কস যে যেখানে আছে ই-ই করে তেড়ে আসবে, মায় তামুক-সাজিয়ে ছোড়াট পর্যন্ত । বোকোসর। যেমন গাছ চালিয়ে স্বৰ্গ মৰ্ত পাতাল ঘুরে বেড়াতে পারে, তেমনি যাত্রাওলার ইচ্ছে করলে গিরিনরুম নিয়ে এ-পাড়া ও-পাড়া, এ-গ্রাম ও-গ্রাম, এ-দেশ সে-দেশ করতে পারে। অত বড়ো গিরিনরুম তো দেখেছ, যাত্রা শেষ হলে সব একটি ছোটো সিন্দুকে ভরে নিয়ে অধিকারী তোমাকে নমস্কার করে চলে যাবে। তেমনি হিজলীর বনটা হল পুতু অধিকারীর গিরিনরুম, আর যত বেওয়ারিশ ছেলে নিয়ে তার যাত্রার দল। থিয়েটারের স্টেজ দেখেছ uতা, তার মধ্যে জল আছে, বন আছে, বাড়ি আছে, শহর আছে, কী যে নেই তা বলা যায় না। আবার ইচ্ছে করলে ছাতার মতো সব গুটিয়ে ১৬৭