পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/১৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাজনা বাজিয়ে দিলে, ‘হিম সিম হিম সিম, শিল শিলাতি শিলাত শিলা, ঝিম বিমাতি বিমাতা বিীমা, আর ছেলেরা গান ধরলে, ‘সোনার আলো পড়ুক এসে, হিমে ঢাকা বনের তলে সোনার পাখি পড়ুক উড়ে, শুকনো গাছের ডালে ডালে সোনার কাটি, ছুইয়ে এস সোনার কাটি মাটির বুকে জলে স্থলে ঘুম ভাঙিয়ে, রঙ ধরিয়ে, ফুলে ফুলে ফলে ফলে ॥’ আঙুটি পাণ্ডটিকে ঘিরে ছেলে বুড়ো পশু পক্ষী সবাই গান শুনে বাহবা দিতে লাগল। সা-মোরগ লম্বা গল নেড়া মাথা কেবলি নাড়তে থাকলেন, হাড়গিলে গলার থলি তুলিয়ে গম্ভীর হয়ে কেবলি দুপায়ে তাল দিতে লাগলেন। সেই সময় সবাইকে চমকে দিয়ে গুডুম করে অন্ধকার কঁাপিয়ে তোপ পড়ল, অমনি রাজ-পুত্তর হয়ে পুতু আসরে এসে বললেন, ‘বন্ধুরা, আর এখন গান গাইবার সময় নেই, ঐ দেখ তোপ পড়ল, এই রাতের মধ্যে সোনার কাটি দিয়ে সব জাগিয়ে তুলতে হবে।’ সোনার কাটি ছুইয়ে সমস্ত বনকে না জাগালে সবাই যে ঘুমিয়ে থাকবে অন্ধকারে হিমের চাদর মুড়ি দিয়ে। এদের আগে জাগানো চাই। পুতুর বন্ধু ইচিং বিচিং চাচিমুচি অমনি এগিয়ে বললে, ‘সোনার কাঠি পেয়েছ বন্ধু ? পুতু গম্ভীর হয়ে টেক থেকে ছুচ বার করে বললেন, ‘এই সেই সোনার কাটি যার সন্ধান করে দেশবিদেশে রাজপুত্তর হয়ে স্যন্নাসীর মতো এতদিন ফিরেছি।’ অমনি ইচিং বিচিং চাচিমুচি উত্তর দক্ষিণ পুব পশ্চিম চারকোণে দাড়িয়ে গান ধরলে, নিষ্ঠুর নিরায় তোমায় দয়াময় বলাও বল কোন গুণে । হয়ে রাজপুত্র বনবাসী দ্বাসী হয় রাজমহিষী সকলি তোমারি কৃপায়। \లిఫ్