পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/১৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুর্পনখা সোনাকে কাধ থেকে আসরে নামিয়ে মেঘ গর্জন করে বললে, আয় দেখি, নরাধম আজ অযোধ্যার রাজবংশ নিমূল করব। যুদ্ধ দেহি আয়। একটা পাথর নিয়ে স্বৰ্পনখা এগিয়ে এল, অমনি পুতুব্রহ্মাস্ত্র ছাড়লেন। সুর্পনখা পড়ল। কুমির এসে তাকে খেয়ে ফেলল । পুতু সোনার পাশে হা সীতে বলে মাথায় হাত দিয়ে বসে গাইলেন। ‘হায় রে বিধাতা নিদারুণ, কোন দোষে হইলি বিগুণ, বনে দিয়া নানা দুখ দেখায়ে সীতার মুখ, শেষে দুঃখ বাড়ালি দ্বিগুণ। হায় হায় কী কব বিধিরে সম্পদ ঘটায় ধীরে ধীরে কেড়ে নেয় মুখের নিধিরে।’ এই সময় হরিগুণ গান করতে করতে নারদ আসছেন। ইজার চাপকান-পরা জুড়ি অমনি কানে হাত দিয়ে গান ধরলে, জয় জগদীশ্বর জয় জগদম্বে জয় ভবরানী ভব অবলম্বে যদি কর মমতা হত হয় যমত পরিহার মায়া তব অবিলম্বে । নারদ পুতুকে উঠিয়ে চেকিতে বসিয়ে বললেন, ‘রামচন্দ্র বৃথা মায়ায় মোহিত হয়ে মূঢ়ের মতো রোদন করছ কেন ? সকলি সেই মহামায়ার লীলাখেলা বই কিছু নয়। ভেবে দেখ কে তুমি কোথায় ছিলে কোথায় বা এলে আর কোথায় বা যাবে। রাম তোমাকে আর কী বুঝাব সবই তো জানছ। প্রভু সোনার কাটি স্পর্শ করাও স্বর্ণলতা পুনর্জীবিত হবেন। পুতু অমনি বলে উঠল, ঠাকুর ভালো কথা মনে করে দিয়েছেন। বলে পকেট থেকে একটি স্বচ নিয়ে সোনার পায় ফুটিয়ে দিলে । সোনা অমনি জেগে উঠে পায়ের বুড়ে আঙল চুলকোতে »ግ8