জোগাবার জন্তে খেটুে মরবে, কুঁকড়োর পরিবারে সেটি হবার জো নেই, তা তুমি উপোর্সই কর, আর না-খেয়েই মর। কাজেই কালি সাদি সবই, যেখানে যা পায়, ছমুঠে খেয়ে নিতে চলল। কিন্তু খাকি –সে নড়তে চায় না, সাদিকে চুপিচুণি বললে, “তোরা যা না, আমি সেই ঘড়ির মধ্যেকার পিউ-পাখির সন্ধানে রইলেম ।’ বলে খাকি একটা কঁাপির আড়ায়ে লুকোল। আর সব মুরগি গেছে, কেবল মুরকি বসে-বসে নখে মাটি খুড়ছে মুখ ভাব করে, দেখে কুঁকড়ো শুধোলেন, “তোর আজ হল কী : সুরকি ভয়ে ভয়ে ঢোক গিলে বললে, ‘কুঁ-ক বলি– কুঁকড়ে গম্ভীর মুখে বললেন, বলেই ফেল না। বনিতার ভনিতার কবিতার কোনটা বাকি ? উত্তর হল, বিল তো ভালোবাস, কিন্তু— ‘কথাটা চেপে যাও ছোটো বউ, চেপে যাও ’ কুঁকড়ে উত্তর করলেন । ছোটো বউ ছাড়বাব পাত্রী নয়, কান্ন ধরলে, 'না আমি শুনবই।’ কুঁকড়ে বিরক্ত হয়ে বলে উঠলেন, আর ছাই শুনবে কি-ই-ই। কুঁকড়োকে সুরকি একলা পেয়ে কিছু মতলব হাসিলের চেষ্টায় আছে, সব মুরগিই সেটা এচেছিল। তারা খাবারের চেষ্টায় কেউ যায় নি। এখন সাদি এক-কোণ থেকে আস্তে আস্তে বেরিয়ে এসে বললে, তোমার পাঠরানী আমি, সাদি। কুঁকড়ে বিষম গম্ভীর হয়ে বললেন, ‘কে বললে –না । সুাদি একটু গলা চড়িয়ে বললে, “আমায় বলতেই হবে ? ইতিমধ্যে একদিক থেকে কালি এসে বলছে, খুব বিনিয়ে বিনিয়ে, কও, আমি তোমার স্থ-ও-রা-নী । কুঁকড়ো ঠিক তেমনি মুরে উত্তর করলেন, “কি —ন –বল –গা। সুর ধরলে বল না, বল না . অমনি সাদি বলে উঠল, মন্তরটা কী ? যার গুণে তুমি গুণীর মতো গান গাও? কাছে ঘেষে স্বরকিও স্থর ধরলেন, ‘হ্যাগ, শুনেছি তোমার গলার মধ্যে একটা পিতলের রামশিঙে পরানো আছে, আর তাতেই নাকি লোকে তোমার নাম দিয়েছে আম-পাখি।', Sఫి
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/২০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।