পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/২৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চকা অমনি বললে –‘চুপ-চুপ কথা কয়ে না, ডালকুত্তা শিকারে বেরিয়েছে –বলতে-বলতে ছায়ার মতো একটা হরিণ ওপার দিয়ে দৌড়ে জলের ধারে এসে থরথর করে র্কাপতে লাগল। ঠিক সেই সময় নদীর দুই পারে শব্দ উঠল –যেন একশে কুত্ত এক সঙ্গে ডাকছে —‘ষ্ট্ৰয়া-হু হুয়া-হু হুয়া-হু ' ঝপাং করে জলে একটা ছায়া লাফিয়ে পড়ল, তারপর পিছল পাথরের উপর খুরের অঁাচড় বসিয়ে ভিজে গায়ে হরিণ এসে রিদয়ের পাশে দাড়িয়ে জোরে-জোরে শ্বাস টানতে-টানতে কেবলি ঘাড় ফিরিয়ে চারিদিকে চাইতে লাগল। চক। হরিণের ভয় দেখে বললে –‘ডালকুত্তা রইল কোন পাহাড়ে তুমি এখানে ভয়ে কঁপিছ দেখি ? রিদয় বললে –‘সে কী ! এই পাহাড়েই তো এখনি ডাকছিল কুকুরগুলো।’ চকা হেসে বললে –‘কুকুরগুলো নয়, একটা কুকুর ডাকছিল, তাও খুব দূরে। ডালকুত্তার ডাকের মজাই এই, একটা ডাকলে মনে হবে যেন দশটা ডাকছে –দুরে কাছে চারদিকে –ভয়ে ‘কোনদিকে যাব ভেবে পাওয়া যায় না, বুদ্ধি লোপ পেয়ে যায়। ডালকুত্তার ডাক শুনে ভয় পেয়ে ছুটাছুটি করেছ কী মরেছ। ঠিক পায়ের শব্দ শুনে কুত্ত এসে তোমায় ধরেছে, যেখানে আছ সেইখানে বসে থাক চুপটি করে, তোমার সন্ধানও পাবে না ডালকুত্তা ? হরিণ চকার কথায় কতকটা সাহস পেলে বটে কিন্তু তখনে ভয়ে তার কান হুটো কেঁপে-কেঁপে উঠছে, এমন সময় পিছনে অন্ধকারে র্থেকশেয়াল খেক করে হেসে উঠল, হরিণছানাট একলাফ দিয়ে একেবারে নদী টপকে উপরের পাহাড়ে দৌড় দিলে । চকা বলে উঠল – ‘কে ও খেকশেয়াল নাকি ? এই পাহাড়ে যে চাদপুরের শেয়াল এসে উপস্থিত হবে তা চক ভাবেনি, আর খেকশেয়ালও মনে করেনি হাসেদের দেখা পাবে সে এখানে । শেয়াল আনন্দে চিৎকার আরম্ভ করলে –‘হুয়া-হুয়া স্থয়া-উয়া বাহোয়া ওয়া-ওয়া ? q. ՀԳԵ