পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/২৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চক শেয়ালকে ধমকে বললে –‘চুপ অত গোল করে না, এখনি ডালকুত্তা এসে পড়বে, তখন তুমিও মরবে আমরাও মরব।’ শেয়াল একগাল হেসে বললে –‘এবার আমি বাগে পেয়েছি ডালকুত্তা লেলিয়ে দিয়ে তবে ছাড়ব। সেদিন বড়ে যে হাসবাজি দেখানো হয়েছিল, এইবার শেয়ালবাজিট দেখে নাও ’ বলেই শেয়াল ডাকতে লাগল –‘হুয়া-উহ হুয়া-উহা -তোদের জন্তে আমার আর দেশে মুখ দেখাবার যে নেই ? চকা নরম হয়ে বললে –“অত চেঁচাও কেন, তুমি আগে আমাদের সঙ্গে লেগেছিলে। আমাদের দলের লুসাই আর বুড়েআংলা দুজনকে খেতে চেয়েছিলে, তবে না আমরা তোমায় জব্দ করেছি, আমরা তো মিছিমিছি তোমার সঙ্গে সাগতে যাইনি।” শেয়াল দাত কড়মড় করে বললে –‘ওসব আমি বুঝিনে, বিচার আমার লছে নেই। বুড়ো-আলোটিকে আমার দু-পাটি দাতের মধ্যে যদি হাজির করে দাও তো এবার ছাড়া পাবে, না হলে ডালকুত্তা এল বলে ? চকা মুখে সাহস দেখিয়ে বললে আস্তক না কুত্তা, এই ঝরনার মধ্যে পাথরের উপরে আর আসতে হয় না –জলে নেমেছে কী কুটোর মতো কোথায় তলিযে যাবে তার ঠিক নেই। রিদয়কে আমরা কিছুতে ছেড়ে দেব না শেয়ালের মুখে, মরি সেও ভালো ( চকা খুব তেজের সঙ্গে এই কথা ললে বটে কিন্তু রিদয় দেখলে ভয়ে তার লেজের ডগাটি পর্যন্ত কঁপিছে । চকী চুপি-চুপি তাদের সবাইকে বললে –‘সাবধান, বড়ো গোল এবারে, যে অন্ধকার, উড়ে পড়বার যো নেই, ডালকুত্তা পাকা সাতারু, বিষম জোরালো, ঝরনা মানবে না সাৎরে উঠবে । সে জলের কুমির, ডাঙার বাঘ বললেই হয় । সব সাবধান, যে যার সামলে, . দেখতে না পায় পাথরের সঙ্গে মিশিয়ে বস ? হাস অমনি ডানায় মুখ ঢেকে গুটিমুট হয়ে এক-এক পাথরের মতো এখানে-সেখানে চেপে বসল, কালো বুনো হাসের ডানার রঙে ২৭৯